কাঁকসা, 29 মার্চ : লকডাউনের আজ পঞ্চম দিন ৷ কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সন্ত্রস্ত গোটা দেশ ৷ তবুও যেন সচেতন নয় সাধারণ মানুষ ৷ লকডাউন না মেনে দুর্গাপুর শহরের রাস্তায় দেখা যাচ্ছে মানুষদের ৷ যখন শিক্ষিত মানুষেরাও অসচেতন , তখন কাঁকসার ত্রিলোকচন্দপুর গ্রাম যেন শহুরে মানুষদের চোখে আঙুল দিয়ে সচেতনতার শিক্ষা দিল ৷ আজ থেকে কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে বাইরে থেকে আসা মানুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গ্রামের মানুষ । কোরোনার জেরে গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তায় বাঁশ দিয়ে চেকপোস্ট করে আজ থেকে শুরু হল পাহারা । আর এই পাহারায় গ্রামের যুবকরা ।
কোরোনা মোকাবিলায় গ্রামে বাঁশের চেকপোস্ট তৈরির করল যুবকরা
যখন শিক্ষিত মানুষেরাও অসচেতন , তখন কাঁকসার ত্রিলোকচন্দপুর গ্রাম যেন শহুরে মানুষদের চোখে আঙুল দিয়ে সচেতনতার শিক্ষা দিল ৷ আজ থেকে কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে বাইরে থেকে আসা মানুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গ্রামের মানুষ । কোরোনার জেরে গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তায় বাঁশ দিয়ে চেকপোষ্ট করে আজ থেকে শুরু হল পাহারা ।
দুর্গাপুর শহরে লকডাউনের পঞ্চমদিনেও রবিবার বাজারে বাজারে জিনিসপত্র কেনার হিড়িক । কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় । সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার শতপ্রচারেও কান না দিয়ে কেনাকেটা করতে ব্যস্ত মানুষ । বারংবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গা-ঘেঁষাঘেষি করে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে জিনিস কেনার ছবি চোখে পড়ল আজ ৷ অন্যদিকে, এই মারণ ভাইরাসকে রুখতে বাঁশের ব্যারিকেড দিল কাঁকসার ত্রিলোকচন্দপুর গ্রামের বাসিন্দারা । আজ থেকে কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে বাইরে থেকে আসা মানুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল গ্রামের মানুষ । যদি গ্রামের কেও বাইরে যেতে চান , তাদেরকে শুধুমাত্র চিকিৎসা করাতে যাওয়া ছাড়া গ্রাম থেকে বেরোতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই যুবকদের ।
গ্রামের এক যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, "কোরোনার আতঙ্ক গোটা বিশ্বের সঙ্গে আমাদের রাজ্যেও । তাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনও বহিরাগতদের হাত ধরে আমাদের এই ত্রিলোকচন্দপুর গ্রামে যাতে এই ভাইরাস না ছড়াতে পারে । তাই এই চেকপয়েন্ট । সবাই সমর্থন করছেন । " সুদীপ্ত ঘোষ নামের এক গ্রামবাসী গ্রামের যুবকদের এই সচেতনতাকে সাধুবাদ জানান । তিনি বলেন, " রবিবার সকাল থেকেই বাজারগুলিতে মানুষের ভিড় । বারংবার সচেতন করা, বাজারকে মাঠে তুলে আনা, এতো প্রচার করেও কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ তাই আমরা এই মারণ ভাইরাসের গ্রামে ঢোকার পথকে আটকাতে চাই ৷ "