আসানসোল, 25 ফেব্রুয়ারি: নদী বা ক্যানেল নেই । তাই নেই চাষাবাদে জন্য সেচের ভরসাও (Colouring Cauliflower Cultivating is Profitable)। শুধুমাত্র বৃষ্টির জলের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় রুক্ষ সলানপুরের কৃষকদের । কিন্তু চলতি আর্থিক বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম হয়েছে । তাই ধানচাষ করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তাঁরা । অবশেষে কৃষি দফতরের সহায়তায় ও উপদেশে রঙিন ফুলকপি চাষ করে দিন ফিরেছে কৃষকদের । আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে কৃষকদের বিকল্প রোজগারের দিশা দেখিয়েছে ক্যারোটিনা, ভ্যালেন্টিনা প্রজাতির রঙিন ফুলকপির চাষ ৷
সাধারণত শিল্পাঞ্চলের চাষাবাদের চিহ্ন খুবই কম (Asansol News) । খনি এলাকায় এমনিতেই মাটিতে জল ধারনের ক্ষমতা কম । তাই উর্বর জমি থাকলেও জলের অভাবে চাষ হয় না তেমন । আসানসোলের সালানপুর ব্লক এলাকায় বিস্তীর্ন ধান জমি রয়েছে । কিন্তু সমস্যা ওই এলাকায় নদী বা ক্যানেল না থাকায় জলস্তর অনেক নীচে নেমে গিয়েছে ৷ সাবমার্সিবল পাম্পও কাজ করে না । ফলে চাষের জন্য সেই বর্ষার উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয় কৃষকদের । সেই বর্ষার জলে বছরে একবার ধানের উৎপাদন হত । তাতেই কৃষকদের কোনওরকমে সংসার চালত । চলতি আর্থিক বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একেবারেই কম হওয়ায় ধানচাষ করতে গিয়েও ক্ষতির মুখে পড়লেন কৃষকরা ।
ক্ষতি থেকে কৃষকদের রেহাই দিতেই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিকল্প চাষের সন্ধান দিয়েছে । কৃষকদের উদ্যান পালনে উৎসাহী করে রঙিন ফুলকপি চাষে উৎসাহ দেওয়া হয় ৷ অল্প অল্প জমিতে কৃষকরা এই চাষ করতে শুরু করেন । জমির পরিমাণ কম থাকায় জলও কম লাগে এই রঙিন ফুলকপি চাষে । এলাকার পুকুর থেকেই এই জল সংগ্রহ করে উদ্যান পালনে লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকরা । বেগুনি থেকে শুরু করে হলুদ রঙের ফুলকপিও বেশ আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে । তাছাড়া সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এই ফুলকপির খাদ্যগুণও যথেষ্ট । আর এলাকার কৃষকরাও এই রঙিন ফুলকপির চাষ করে বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন ।