আসানসোল, 3 জুন : কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআইকে সহযোগী করেই রেকর্ড উৎপাদনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস বা সিএলডব্লু। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জন্য যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে এবার সহযোগী হল সিআইআই। রেল বোর্ডের দেওয়া ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবার অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
রেকর্ড পরিমাণ ইঞ্জিন প্রস্তুত করে এর আগে লিমকা বুক রেকর্ডে নামও তুলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। কিন্তু সব রেকর্ডকে পিছনে ফেলে আগামী বছর 500 রেল ইঞ্জিন প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সিএলডব্লুউ। যার জন্য প্রায় 4 হাজার কোটি টাকার সামগ্রী কেনা হবে। আগে যে পরিমাণ রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত হত তার প্রায় দ্বিগুণ প্রস্তুত হচ্ছে চিত্তরঞ্জনে।
সম্প্রতি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার উদ্যোগে ভার্চুয়াল ভেন্ডার্স সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । যার সহযোগিতায় ছিল সিআইআই। ভার্চুয়াল এই সম্মেলনে প্রায় 200 বিক্রেতা সংস্থা অংশ নেয়। এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার জন্য বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ কিভাবে আরও বেশি পরিমাণে আনা যায় এবং যেসব বিক্রেতা এখন আছেন তারা কিভাবে আরও উন্নত মানের যন্ত্রাংশ চিত্তরঞ্জন রেলকে সরবরাহ করতে পারেন সেই বিষয়ে আলোচনা করা। বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সিআইআইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলেছেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সতীশকুমার কাশ্যপ। তিনি বলেন, "অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে। এর জন্য তিনি সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন।" সিআইআই সংস্থার মাধ্যমে বিক্রেতারা যাতে ভারতীয় রেল তথা সিএলডব্লুর বিজনেস পার্টনার হয়ে ওঠেন সেই আবেদন জানান তিনি ৷
সিআইআইকে সহযোগী করে রেকর্ড ইঞ্জিন বানানোর লক্ষ্যে সিএলডব্লুউ - confederation of indian industry
রেকর্ড পরিমাণ ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ ওয়ার্কস ৷ আগে যে পরিমাণ রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত হত তার প্রায় দ্বিগুণ প্রস্তুত হচ্ছে চিত্তরঞ্জনে। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়েছে সিএলডবলু। রেলইঞ্জিন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত 80 শতাংশ সামগ্রীই বাইরে থেকে আমদানি করছে কর্তৃপক্ষ।
সিআইআই-কে সহযোগী করে রেকর্ড ইঞ্জিন বানানোর লক্ষ্যে সিএলডব্লুউ
আরও পড়ুন :শীঘ্রই শিশুদের উপর কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দিল্লি এইমস’র
তবে শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়েছে সিএলডবলু। রেলইঞ্জিন প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত 80 শতাংশ সামগ্রীই বাইরে থেকে আমদানি করছে কর্তৃপক্ষ। রেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নেপাল চক্রবর্তী জানান, যে কারখানায় রেলইঞ্জিনের সবকিছুই প্রস্তুত হত সেখানে বেশিরভাগ সামগ্রীই ভেন্ডারদের মাধ্যমে কিনে সিএলডবলুকে ধীরে ধীরে রেলমন্ত্রক ‘অ্যাসেম্বল ইউনিটে’ পরিণত করছে।