দুর্গাপুর, 29 নভেম্বর:পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan News) কাঁকসার জঙ্গলমহলে মুখ্যমন্ত্রীর শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির স্বপ্ন (Mamata Dream Come True Moment) বাস্তবায়িত হতে চলেছে ৷ বনদফতরের হাত ধরে শুরু হল প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ ৷ স্বাভাবিক ভাবেই উৎসাহিত জঙ্গলমহলের আদিবাসী সমাজ ৷
2020 সালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁকসার জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের (Kanksha tribals) উন্নয়ন সাধনের জন্য শালপাতার ক্লাস্টার (Cluster of Shal leaves) তৈরির কথা জানিয়েছিলেন । আত্মনির্ভরশীলতার স্বপ্ন দেখেছিলেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। তবে দু'বছর কেটে যাওয়ার পরও সে রকম কিছু না হওয়ায় অনেকে আশা হারিয়েছিলেন । শেষমেষ কাঁকসার জঙ্গলমহলের দেউলে বনদফতরের রিসর্টে শুরু হল শালপাতার ক্লাস্টার তৈরির কাজ ।
এই এলাকার আদিবাসী সমাজের প্রধান জীবিকা জঙ্গল থেকে পাতা সংগ্রহ করে কুঁচি কাঠি দিয়ে সেলাই করে সেগুলি বাজারে বিক্রি করা । তবে প্রশিক্ষণের অভাবে শালপাতার থালা বাটি তৈরিতে সেভাবে পারদর্শী ছিলেন না এই এলাকার বাসিন্দারা । প্রাথমিক কাজ শুরু করার জন্য কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরাঙ্গপুর, খেড়োবাড়ি, নিমটিকুড়ি-সহ একাধিক আদিবাসী এলাকার আদিবাসীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দেউলের বনদফতরের রিসর্টে । বনদফতরের আধিকারিকরা এবং দক্ষ প্রশিক্ষকরা শালপাতার থালা বাটি তৈরির প্রশিক্ষণ দেন । প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য বেশ কয়েকটি সেলাই মেশিন এবং অত্যাধুনিক মানের শালপাতার থালা এবং বাটি তৈরির মেশিন আনা হয়েছে ।
আরও পড়ুন:প্লাস্টিকের বিকল্প শালপাতা, পথ দেখাচ্ছে ওড়িশার মহিলারা
বর্ধমান বনাঞ্চলের সহকারী বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী দাবি করেন, এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলির মাধ্যমে শালপাতার থালা বাটি তৈরি করে লাভের মুখ দেখবেন এলাকাবাসী । বিক্রি করতে দূরের বাজারেও যেতে হবে না । বনদফতর বিক্রির ব্যবস্থা করবে বলেও জানান তিনি । জানান যে, বেশ কিছু গোষ্ঠী তৈরি করা হবে, সেই গোষ্ঠী মহিলারা পরিচালনা করবেন । তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু শালপাতার থালা বাটি তৈরির মেশিন আনা হবে । এলাকার মহিলারা এই উদ্যোগে খুশি । তাঁরা চাইছেন বিদ্যুৎ পরিষেবা আরও উন্নত হলে শালপাতার থালা এবং বাটির মান বাড়ানো যাবে । জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে নতুন বছরের আগেই ।