অন্ডাল, 25 ডিসেম্বর : সারাজীবন ধরে সংসার সামলেছেন ৷ ছেলে-মেয়েদের মানুষ করেছেন ৷ কিন্তু আজ জীবনের সায়াহ্নে ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে ৷ উৎসবের দিনগুলিতে বেশি করে মনে পড়ে আপনজনদের ৷ আজ বড়দিনে সেই বৃদ্ধাশ্রম আবাসিকদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলেন খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যরা ৷
বড়দিনে আবাসিকদের মুখে হাসি ফোটাতে পঞ্চায়েত প্রধান বৃদ্ধাশ্রমে
বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের মুখে হাসি ফোটাতে খান্দরা উদবর্তন বৃদ্ধাশ্রমে ফুল, মিষ্টি, কেক হাতে হাজির হন খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল অধিকারী এবং অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্যরা ৷
সকাল সকাল খান্দরা উদবর্তন বৃদ্ধাশ্রমে তাঁরা হাজির হন ফুল, মিষ্টি হাতে ৷ একুশ জন আবাসিকের হতে ফুল, মিষ্টি ও কেক তুলে দেন ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল অধিকারী ৷ শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন ৷ বলেন, "বড়দিন উপলক্ষে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের হাতে কেক,মিষ্টি তুলে দিতে পেরে আমরা নিজেকে ধন্য মনে করছি ৷ উৎসবে প্রতিটি মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে ৷ কিন্তু এখানে যাঁরা আছেন তাঁদের যাতে আমরা আনন্দে রাখতে পারি ৷ তাঁদের কিছুক্ষণ সময় দিতে পারি সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ ৷ তিনি আরও বলেন, "এখানে রুমের সংখ্যা কম ৷ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যদি রুমের সংখ্যা বাড়ানো যায় তারজন্য চিন্তা-ভাবনা করছি ৷ সেইসঙ্গে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের কীভাবে আরও আনন্দে রাখা যায় সে বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি ৷ "
পরে আবাসিক সন্ধ্যা দাসের কাছে তাঁর কেমন লাগল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ভালোই আছেন ৷ আগে এত বড়দিন পালনের চল ছিল না ৷ ছেলে-মেয়েরা আনন্দ করত ৷ তাদের দেখে তাঁরাও আনন্দ পেতেন ৷ পঞ্চায়েতের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন "জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে কিন্তু সব কিছু হাসি মুখে অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ায় নাম জীবন ৷"