কুলটি, 12 মার্চ: বাঙালির দোলযাত্রা শেষ ৷ সাঙ্গ হয়েছে হোলির পালাও ৷ তারপরও প্রথা মেনে খেলা হল রং, আবির ! এই ছবি পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মিঠানি গ্রামের ৷ এই আচারের নাম, 'পঞ্চম দোল উৎসব' (Pancham Dol Utsav) ৷ এটি মূলত এই গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের নিজস্ব উৎসব ৷ নিয়ম অনুসারে, মূল দোলযাত্রার পর ঠিক পাঁচদিনের মাথায় এই দোল খেলা হয় ৷ সেই কারণেই উৎসবের এমন নামকরণ করা হয়েছে ৷
কুলটির মিঠানি গ্রাম বর্ধিষ্ণু এলাকা ৷ চট্টরাজ পরিবার (Chattaraj Family) এখানকার আদি বাসিন্দাদের অন্যতম ৷ বর্তমানে মিঠানি গ্রামে চট্টরাজদের 100টিরও বেশি পরিবার রয়েছে ! এই পরিবারের কুলদেবতা বাসুদেবচন্দ্র জিউ ৷ তাঁর আরাধনাতেই পঞ্চম দোল উৎসব পালন করা হয় ৷ তাতে সামিল হন চট্টরাজদের আট থেকে আশি ৷
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মূল দোলযাত্রায় যেসমস্ত নিয়ম-কানুন রয়েছে, তার সঙ্গে পঞ্চম দোল উৎসবের কোনও ফারাক নেই ৷ দোল পূর্ণিমার পর চতুর্থীর রাতে চাঁদ উঠলে শুরু হয় পঞ্চম দোলের চাঁচর বা হোলিকা দহন রীতি ৷ মূলত চট্টরাজ পরিবারের কুলদেবতা বাসুদেবচন্দ্র জিউয়ের আরাধনায় পঞ্চম দোল উৎসব পালিত হলেও গ্রামের আরও দু'টি প্রাচীন শালগ্রাম শিলা দামোদরচন্দ্র জিউ এবং লক্ষীনারায়ণ জিউকেও এই উৎসবে অর্ঘ্য প্রদান করা হয় ৷ তাঁদের পুজো করা হয় ৷