নববধূকে শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে বাধা দুর্গাপুরে দুর্গাপুর, 1 ফেব্রুয়ারি: বিয়ের পর থেকে নব দম্পতির মধ্যে শুরু অশান্তি। তারই মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে ঘুরতে যান নববধূ। তার কিছুদিন পর শ্বশুরবাড়ি ফিরে এলে বাড়িতে ঢুকতে বাধা। এর জেরে ধরনায় বসতে হয় নববধূকে। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ঢুকলেন নববধূ। মঙ্গলবার রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল দুর্গাপুর থানার (Durgapur Police)চুয়ান্ন ফুট এলাকায়।
জানা যায়, দুর্গাপুরের 54 ফুট এলাকার বাসিন্দা অশোক পাত্রর ছেলে তন্ময় পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুস্মিতা ঘোষের। বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নব দম্পতির অশান্তি। চলতি বছরে স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই বেলিয়াতোড়ে অষ্টমঙ্গলা সেরে ফিরে আসে দুর্গাপুরে। ফের নিয়ম মেনে নববধূ বাপের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুদিন থাকে। গত শনিবার সুস্মিতা বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। সেই রাতে সুস্মিতাদেবী দুর্গাপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকে।
এরপর মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির দরজায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি ৷ সন্ধার পরেও দরজা খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই নববধূর পাশে দাঁড়ান এলাকার মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা তৃণমূল নেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এবং তৃণমূল নেত্রীর হস্তক্ষেপে নববধূকে শ্বশুরবাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়। স্বামী তন্ময় পাত্র এখন পলাতক। ভবিষ্যতে মহিলার যাতে কোনও ক্ষতি না-হয় সেদিকেও কড়া ভাষায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বলতে শোনা যায়, জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীকে।
আরও পড়ুন:চারমাসের গর্ভবতী বধূকে পুড়িয়ে খুন ! দুর্ঘটনা বলে দাবি শ্বশুরবাড়ির
পুলিশের তরফ থেকেও নজরদারি রাখা হবে বলেও জানা যায়। তৃণমূলের স্থানীয় নেত্রী বলেন, "অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা। এই নববধূ অষ্টমঙ্গলা করতে বাপের বাড়িতে যায়। ফিরে এলে তাঁকে আর শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না। আমরা শুনলাম 28 ভরি গয়না এই মেয়েটির বাপের বাড়ির লোকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে, তার পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র পণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। তার পরেও এই মেয়েটিকে এরা ঢুকতে দিচ্ছে না। কি কারণে ঢুকতে দিচ্ছেন না? সেটা অবশ্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কিছুই বলছেন না। কার্যত এতে নববধূকে অসম্মান করা হচ্ছে। আমরা মহিলারা এই অসম্মান মেনে নিতে না-পেরে আজ এখানে একত্রিত হয়েছি।"