আসানসোল, 13 ডিসেম্বর: রানিগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা । বুধবার সকালে সোহরাব আলির হীরাপুরের রহমতনগরের বাড়িতে হানা দেন আয়কর দফকরের তদন্তকারী আধিকারিকরা । সঙ্গে রয়েছে সিআইএসএফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে শুধু সোহরাব আলির বাড়িতেই নয়, হীরাপুরের ধরমপুরের ব্যবসায়ী মহম্মদ ইমতিয়াজের বাড়ি ও গরাই রোডে তাঁর দফতরে চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, বার্নপুরে রেশন ব্যবসায়ী তথা সোহরাবের হিসেব রক্ষক পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়ি-সহ একসঙ্গে একাধিক জায়গায় অভিযান চলছে । সূত্রের খবর, মোট 9টি জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এদিন হানা দেয় ৷
হীরাপুরের শেখ আলির ছেলে হলেন সোহরাব আলি । শেখ আলি পেশায় গাড়ির চালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার । সেই সূত্র ধরেই সোহরাব আলি লোহার কারবারে নামেন । লোহার ব্যবসার আড়ালে ধরমপুরে বেআইনি কাঁটা চালানো, বার্নপুরে রেল ওয়াগেন ব্রেকিং করা, ইস্কো কারখানায় লোহার স্ক্র্যাপের বেআইনি কারবার-সহ নানা আভিযোগ ছিল সোহরাব আলির নামে । লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করেন। কখনও লালু প্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন ৷ আবার পুরভোটে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন ৷ পরে আরএসপিতে যোগদান করেন । আবার হাওয়া বুঝে তৃণমূলে নাম লেখান ৷
2011 সালে রানিগঞ্জ থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছিলেন সোহরাব আলি । বর্নময় রাজনৈতিক জীবন সোহরাবের । যদিও পরবর্তীকালে শাসকদলের হয়ে তিনি আর টিকিট পাননি । বর্তমানে সেখানকার বিধাক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় । সোহরাব আলির স্ত্রী নারগিস বানো তৃণমূল করেন ৷ তিনি 82 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর । অতীতে কয়লার ছাঁট ও লোহার অবৈধ কারবারে সোহরাব আলির বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল ।