দুর্গাপুর, 8 মে: বেহাল দশা সরকারি হাসপাতালে ৷ মর্গে জায়গা নেই ৷ তাই করোনা ওয়ার্ডের বিছানাতেই পড়ে থাকল কোভিড আক্রান্ত রোগীর দেহ ৷ 40 ঘণ্টার বেশি সময় পরও করোনা রোগী ওয়ার্ড থেকে সরানো ব্যবস্থা করা হল না ৷ এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীদের মধ্যে । বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর ৷ শনিবার সারাদিনের মধ্যে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করা হল না ৷ হাসপাতালের সুপার জানান, আজ রাতের মধ্যেই যাতে ব্যবস্থা করা যায় তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে গিয়ে গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশা সামনে এসেছে । বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গও ৷ রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে শয্যার আকাল ৷ দুর্গাপুরের সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা নেই । চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে মহকুমা হাসপাতালে । বেসরকারি হাসপাতালের দশাও তাই । শ্মশানে লাইন, হাসপাতালে শয্যা নেই ৷ হাহাকার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলজুড়ে ।
এর মধ্যেই আরও প্রকট অব্যবস্থা সামনে এল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয় ৷ তারপর থেক ওয়ার্ডের শয্যাতেই পড়ে রইল মৃতদেহ ৷ শনিবার বিকেল অবধি 40 ঘণ্টার বেশি এভাবেই দেহ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ একই করোনা ওয়ার্ডে প্রসূতি মহিলারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । মৃত রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ৷
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে 40 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওয়ার্ডেই পড়ে থাকল করোনা রোগীর দেহ ৷ শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "মর্গে মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই ৷ মর্গ তৈরির কাজ চলছে ৷ জেলাশাসকেও এই কথা জানিয়েছি আমি ৷ আজ রাতের মধ্যেই এই দেহ দাহ করা হবে ৷" এদিন দুপুরে 26 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপেন মাঝি বলেন, "বিষয়টি জানা ছিল না । সাংবাদিকদের কাছেই খবর পেলাম । ব্যবস্থা নিচ্ছি ।"
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি করতে করোনার পজিটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়: কেন্দ্র