আসানসোল, 5 এপ্রিল : মনোনয়ন জমা দিলেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ । আজ আসানসোল মহকুমা শাসকের দফতরে নিজের মনোনয়ন জমা দেন সায়নী । পরণে ছিল হলুদ শাড়ি ৷ বিএনআর মোড় থেকে মহকুমা শাসকের দফতর পর্যন্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল করে আসেন । সায়নীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা সুদীপা ঘোষ ।
বর্তমানে আসানসোলে মেয়ের সঙ্গেই রয়েছেন সুদীপা ঘোষ ৷ যদিও সায়নীর সঙ্গে ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি তাঁকে ৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সায়নী বললেন, "জীবনে যখনই কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বড় কাজ করতে গিয়েছি, মাকে সঙ্গে রেখেছি । কারণ মাকে সঙ্গে রাখলে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় ।" মনোনয়ন জমা দিতে গেলেও প্রচারে মাকে সেভাবে নিয়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন সায়নী । সায়নী বললেন, "যারা আমার প্রচার দেখেছেন, তারা জানেন আমাকে অনেক ছোটাছুটি করতে হয় । আমার মা হার্টের রুগী । সেই কারণে মাকে নিয়ে প্রচারে যাওয়া যাবে না ৷"
মাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন সায়নী আরও পড়ুন : সায়নীকে আক্রমণ অগ্নিমিত্রার, পাল্টা তৃণমূল প্রার্থীর
মেয়ের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত থাকতে পারাটা একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা ৷ মেয়েকে পাশে নিয়ে বলছিলেন সায়নীর মা ৷ পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সামনে অজানা কিছু কথা শেয়ার করলেন ৷ বললেন, "আমার ছেলের হার্টের অসুখ ছিল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন সাংসদ । রাজীব গান্ধি দেশের প্রধানমন্ত্রী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আমার ছেলের চিকিৎসা চলছিল । আমার ছেলে আজ নেই ৷ তবে তখন থেকে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যান । ওনার জন্য আমার ছেলের চিকিৎসা হয়েছিল । তাই আমি চেয়েছিলাম মেয়ে রাজনীতিতে আসুক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলেই আসুক ।"
রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে ৷ তাতে কি ভয় হচ্ছে না ? সায়নী মাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, "আমাদের জীবনে অনেক সংগ্রাম । বাবা কলকাতায় আছেন । আজ বাবা থাকলে ভাল লাগত । দাদাও নেই । অনেক লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা বড় হয়েছি । তাই এসব কোনও বিষয় নয় ।"