আসানসোল, 26 এপ্রিল : আশঙ্কা ছিল কালো মেঘের । তবে শেষ পর্যন্ত পূর্বাভাস মিলল না বঙ্গভোটের হাওয়া অফিসে । মেঘমুক্তই কাটল ভোট-সপ্তমীর আকাশ । বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই কাটল সপ্তম দফা । শান্তিপূর্ণ ভোটের মধ্যেও দিনভর লাইমলাইটে অগ্নিমিত্রা পল । রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ালেন গোটা আসানসোল দক্ষিণ জুড়ে ।
সকাল থেকেই ভোটের তদারকিতে নেমে পড়েছিলেন অগ্নিমিত্রা । ট্যাঁ ফু করার সুযোগ দেননি জোড়াফুলের কর্মী-সমর্থকদের । সকালে এক বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট মাথায় মমতার টুপি পরে এসেছিলেন । খবর পাওয়া মাত্র বুথে ছুটে যান অগ্নিমিত্রা । তৃণমূলের ওই এজেন্টের মাথা থেকে কার্যত ছিনিয়ে খুলে দেন টুপি । এই নিয়ে আক্রমণ - পাল্টা আক্রমণরে পালা চলল দীর্ঘক্ষণ ।
বেলা গড়াতেই ফের নতুন অভিযোগ । এবারের অগ্নিমিত্রার নতুন অস্ত্র । মাংস-ভাত । মমতার দলের লোকেরা নাকি জমিয়ে মাংস-ভাতের আয়োজন করেছিলেন । সেখানে পাত পেড়ে মাংস-ভাত খাওয়ানো হচ্ছিল ভোটারদের । খবর পেয়েই সেখানে যান অগ্নিমিত্রা । তেড়ে যান তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের দিকে । আর অগ্নিমিত্রার সেই রণং দেহি মূর্তি দেখতে পেয়েই ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় শাসকদলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে । ঘটনাটি নিয়ে বেশ শোরগোল ফেলে দেন বিজেপি প্রার্থী । কমিশনের কাছে অভিযোগও জানান বিষয়টি নিয়ে ।
এভাবেই দিনভর এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেরান অগ্নিমিত্রা । বুথে বুথে গিয়ে ভোটের তদারকি করলেন । এরকমই একটি বুথে যাচ্ছিলেন ভোট কেমন চলছে, তা দেখতে । সেইসময়েই জে কে নগর এলাকায় দেখেন একটি বাড়িতে পাত পেড়ে মাংস-ভাতের ভোজ চলছে । বাড়ির কাছেই বুথ । অগ্নিমিত্রার কথায়, বুথের 200 মিটারের মধ্যেই বাড়িটি । আর এলাকারই এক তৃণমূল নেতা নাকি এই গোটা ভোজের হর্তাকর্তা । দেখামাত্রই ক্ষেপে বোম অগ্নিমিত্রা । হুলুস্থুল বাধিয়ে দেন ।