আসানসোল, 24 মে: ভগবানের দুয়ারেই পড়েছে তালা, তাহলে ফুল কিনবে কে? ৷ সকাল হতেই ভিড়ে উপচে পড়ত বাজার, সারাদিনই ক্রেতাদের আনাগোনা লেগে থাকত দোকানগুলিতে ৷ বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে উপনয়ন বা শ্রাদ্ধ- সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় ফুলের ৷ এছাড়া নিত্যদিনের পুজোর জন্যও প্রয়োজন কুচো ফুলের ৷ চাহিদা থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আয় ভালোই হত ফুলব্যবসায়ীদের ৷ কিন্তু লকডাউনের জেরে প্রভাবিত হয়েছে ফুলের বাজারও ৷
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয়েছিল লকডাউন ৷ দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে দুইমাস ৷ উৎসব-আয়োজন নেই, তাই বিক্রিও হচ্ছে না ফুল ৷ পচে যাওয়া ফুল পড়ে থাকছে রাস্তার ধারে ৷ বেশিরভাগ নার্সারিই বন্ধ । তবু ব্যবসায়ীরা দু'একটি ফুলের দোকান খুলে রেখেছেন সামান্য উপার্জনের আশায় ৷
আসানসোলে মোট দুটি বড় ফুলের বাজার রয়েছে ৷ একটি সুভাষ ইন্সটিটিউটের কাছে, অন্যটি রয়েছে গির্জা মোড়ের হকার্স মার্কেটে ৷ এছাড়াও বার্নপুর বাজার, কোর্ট বাজার, নিয়ামতপুর বাজার সহ শহরে মোট ১৫০ ফুলের দোকান রয়েছে । লকডাউনে তালা প্রতিটি দোকানেই ৷ কার্যতই মাথায় হাত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷
আসানসোল বাজারের পুরোনো GT রোডের ধারে সার দিয়ে বসে ফুলের দোকান । রংবেরঙের ফুল, ক্রেতাদের আনাগোনা, বিয়ের গাড়ি সাজানো, সব মিলিয়ে জমজমাট হয়ে থাকত আসানসোলের ফুল বাজার । কিন্তু লকডাউনের কারণে সর্বত্রই পড়েছে হতাশার ছাপ । এমনিতে ফুলের বিক্রি নেই । দু-একজন ক্রেতা আসেন নিত্য পুজোর ফুল কিনতে । কিন্তু তাতে কিইবা হয় । পাইকারি দরে কিনে আনা ফুল পচছে দোকানে ৷ হতাশ হয়ে পচা ফুলের স্তূপ বাইরে ফেলে রেখে দোকান বন্ধ করে চলে গেছেন অনেকে । রাস্তার পাশেও পড়ে রয়েছে ফুলের গোছা ।