আসানসোল, 20 এপ্রিল: তাপমাত্রার পারদ প্রায় 43 থেকে 44 ডিগ্রির ঘরে । চলছে তাপপ্রবাহ বা লু । বেলা 11টার পর বাড়ি থেকে বেরোলে নাক-মুখ জ্বালা করছে গরম বাতাসে । তবু কাজের জন্য বেরোতেই হচ্ছে । উপায় নেই । কিন্তু স্বস্তি কোথায় ?
এই প্রচণ্ড গরমে আসানসোলবাসীকে খানিকটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে আম পোড়ার শরবত (Asansol Aam Panna) । ছোটবেলায় দিদা-ঠাকুমার হাতে বানিয়ে দেওয়া সেই আমপোড়া শরবতের নস্টালজিয়া এনে দিয়েছে আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের সামনে সুরেশ পাশওয়ান । কোল্ডড্রিংকস'কে হারিয়ে সুরেশের আম পোড়ার শরবত এখন বেশ বাজার করেছে আসানসোলে ।
Asansol Aam Panna: আসানসোলে চাঁদিফাটা গরমে স্বস্তি দিচ্ছে আম পোড়ার শরবত
তীব্র গরমে আসানসোলবাসীকে খানিকটা স্বস্তি এনে দিয়েছে আম পোড়ার শরবত (Asansol Aam Panna)। আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের সামনে সুরেশ পাশওয়ানের দোকানে বিকোচ্ছে এই ঘোলাটে শরবত ৷
আরও পড়ুন :মালদার আমে মজেছে ইংল্যান্ড-জার্মানি-ইতালি
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন কোল্ডড্রিংকস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর । তার তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত গরমকালে আম পোড়ার শরবত । এই শরবত খেলে লু লাগে না । শরীর ঠান্ডা থাকে । গ্রামবাংলায় শরবত খাওয়ার পাশাপাশি আমপোড়ার প্রলেপ শিশুদের মাখান হয় । তাতে তাদের ত্বক ঠান্ডা হয় বলে জানা যায় ।
আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের ঠিক উল্টোদিকে আমপোড়ার শরবত তৈরি হচ্ছে একেবারে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে । কোনও রকমের রং, রাসায়নিক কিছুই দেওয়া হয় না । একেবারে আম পুড়িয়ে তার সঙ্গে খানিকটা জলজিরা, জিরে ভাজা এবং স্বাদমতো চিনি, নুন দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই ঘোলাটে পানীয় । দাম প্রতি গ্লাস 20 টাকা আর 30 টাকা । সারাদিন যাঁদের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর কাজ , যেমন বিভিন্ন সংস্থার বিপণন কর্মী, ব্যাঙ্ক বা বীমা কর্মী কিংবা মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে কাজ করা কর্মীরা ভিড় করছেন রবীন্দ্রভবনের উল্টোদিকে এই আমপোড়ার শরবতের দোকানে । কেউ কেউ অবশ্য বাহানাতেও আম পোড়ার শরবত খেতে আসেন।
সকাল থেকে রাত 9 টা পর্যন্ত মানুষের ভিড় লেগে থাকছে রবীন্দ্রভবনের সামনে এই দোকানে। এমনিতে রোজই সাংস্কৃতি কর্মীদের ভিড় হয় এই চত্বরে। আগে যেখানে চায়ের আড্ডায় তুফান চলত, এখন সেই তুফানে নতুন রং এনেছে আম পোড়ার শরবত ।