আসানসোল, 7 নভেম্বর: তাঁরই বিধানসভার সরকারি জেলা হাসপাতাল। অথচ বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও অগ্নিমিত্রা পলের স্থান হল না আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে। বরং সেখানে চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন অন্য বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। কেন তিনি বাদ, এমন প্রশ্ন জানতে অগ্নিমিত্রা গিয়েছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপারের কাছে। কিন্তু সদুত্তর পাননি বলেই অভিযোগ। বিজেপির বিধায়ক বলেই কি বাদ! বিধানসভায় এমন প্রশ্ন তুলবেন বলে জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল।
পরিকাঠামো ও পরিষেবার দিক দিয়ে এই হাসপাতালের উপর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের। পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, অ্যানাস্থিসিস্ট নেই, ফলে অপারেশন হচ্ছে না। নেই উন্নত বার্ন ওয়ার্ড, ট্রমা কেয়ার ইউনিট-সহ আরও অনেককিছু। হাসপাতালটি আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভাতেই অবস্থিত। অতীতে দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়করা এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির (Hospital Patient Welfare Association) সদস্য ছিলেন।
মূলত এই রোগী কল্যাণ সমিতির উপদেশমতো হাসপাতাল পরিচালনা হয়। অতীতে ওই বিধানসভার বিধায়করা রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হলেও, অগ্নিমিত্রা পল বিধায়ক হওয়ার পর তাঁকে ওই সমিতিতে রাখা হয়নি। অথচ ওই সমিতির চেয়ারম্যান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সমিতিতে শাসকদলের আরও অন্য বিধায়ক, কাউন্সিলর এমনকী নেতারাও রয়েছেন।
বিধায়ক হয়েও নিজের বিধানসভার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে বাদ অগ্নিমিত্রা আরও পড়ুন:চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু দুর্ঘটনাগ্রস্ত যুবকের, হাসপাতালে এসে নালিশ অগ্নিমিত্রার
এ বিষয়ে অগ্নিমিত্রা জানান, আমি বিজেপি বিধায়ক বলেই কি রোগী কল্যাণ সমিতিতে জায়গা পাইনি? আসলে আমি ওখানে ঢুকলে সব জেনে যাব। কোথা থেকে কত ফান্ড আসছে, কত টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, এসব জানলে ওনাদের সমস্যা হয়ে যাবে। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার (Super of Asansol Hospital) নিখিল চন্দ্র দাসকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কারণ এই তালিকা আমি তৈরি করি না। কে কে কমিটিতে থাকবেন, তার তালিকা উপর মহল থেকেই আসে।"