আসানসোল, 10 মার্চ: ডিএ-এর দাবিতে পূর্বঘোষিত ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল আসানসোলে। আন্দোলনের বেশীর ভাগ অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা হলেও, রাজ্য সরকারের অনান্য দফতরের কর্মীরাও এই ধর্মঘটে যোগ দেন। আন্দোলনকারীদের একাংশ বিএনআর মোড়ে আসানসোল রবীন্দ্রভবনের উলটো দিকে ধরনা অবস্থানে বসে পড়েন ৷ রাজ্যজুড়ে ডিএ নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে (Agitation on DA Across the State), যৌথমঞ্চের সেই আন্দোলনে সরগরম আসানসোলও।
অন্যদিকে, বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল আসতে শুরু করে। আসানসোল রবীন্দ্রভবনের সামনে জমায়েত বাড়তে থাকে। আসানসোল দক্ষিণ থানার বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ইপ্সিতা দত্ত। এদিন ধরনা অবস্থান থেকে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেন 'ইনিবিনি টাপাটিনি' ও 'সাদা সাদা কালা কালা'র সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে কল্যাণ মৌলিক বলেন, "আমরা স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধরনা অবস্থান না-করে নিজেরা ধর্মঘটে যোগ দিয়ে বিএনআর মোড়ে এসে ধরনা অবস্থান করছি। এই ধরনা অবস্থানের বেশিরভাগ মানুষই শিক্ষক। তবে রাজ্য সরকারের অন্যান্য কর্মচারীরাও এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনার্সরাও এসেছেন আন্দোলনে যোগ দিতে। বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল এসেও এই অবস্থানে যোগ দিচ্ছেন ৷ এই আন্দোলন সুদূরপ্রসারী। যতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকার বকেয়া ডিএ না-দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে এই আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন:বকেয়া ডিএ ইস্যুতে এআইডিএসও-টিএমসিপি সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রসঙ্গত, ডিএ দাবি, রাজ্যের একাধিক স্কুল বন্ধ করা এবং জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এআইডিএসও। শুক্রবার সকাল থেকে এআইডিএস'র কর্মী-সমর্থকরা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিকেটিং করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পালটা ধর্মঘটের বিরুদ্ধে মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। মিছিলটি এআইডিএসও'র বিক্ষোভ স্থলে পৌঁছতেই তুমুল মারপিট বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে, এদিন সকালে একই ইস্যুতে শিলিগুড়ি কলেজে ছাত্র ধর্মঘটে সামিল হন এআইডিএসও কর্মীরা। এআইডিএসও কর্মীরা কলেজ গেট ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায়। ঘটনায় কলেক চত্ত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরে এআইডিএসও'র কর্মী-সমর্থকরা।