পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Asansol Red Light Area: বিয়ারের দাম 2 হাজার! নাচ দেখতে 80 হাজার, নিষিদ্ধপল্লিতে 'দালালরাজ' - নিষিদ্ধপল্লীতে দালালরাজ

নিষিদ্ধপল্লি আর দালাল রাজ যেন ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ৷ সেই 'দাদাল রাজের' কারণে জেরবার আসানসোলের কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লি (Asansol Red Light Area) ৷ গ্রাহকএলেই তাদের কাছ থেকে এক প্রকার জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দাদালদের ৷

Asansol Rad Light Area
নিষিদ্ধপল্লীতে 'দালালরাজ'

By

Published : Mar 27, 2023, 3:23 PM IST

নিষিদ্ধপল্লীতে 'দালালরাজ'

আসানসোল, 27 মার্চ:ভিন রাজ্যের গাড়ি, মানেই শিকার এসে গিয়েছে ৷ বাকি যা করার দালালরাই করে নিচ্ছে ৷ 'দালালরা' গ্রাহকদের নিজেরদের হাতে নিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লিতে। শেষে তাদের বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে 80 হাজার থেকে 1 লক্ষ টাকা । না-দিতে পারলেই গ্রাহকদের মারধর করতেও পিছপা হন না দালালরা। কখনও কখনও গলার চেন, আঙটি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ । কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লিতে দালালদের এই উৎপাতে অতিষ্ঠ যৌনকর্মী থেকে শুরু করে এলাকার সমাজ কর্মীরা (Agent problem in red light area in Asansol)। প্রত্যেকের দাবি পুলিশ সক্রিয়তার সঙ্গে এই দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।

এর আগেও কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধপল্লিতে দালালদের উৎপাতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যৌনকর্মীরা এবং সেখানে কাজ করা সমাজসেবী সংগঠনগুলি । তাদের অভিযোগ, বহিরাগত যুবক এসে নিষিদ্ধপল্লিকে নিজেদের দখলে রাখতে চায় এবং তারাই মূলত সেখানে দালাল রাজ কায়েম করেছে । ভিনরাজ্য থেকে আসা ক্রেতাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ।

স্থানীয় সমাজসেবী তথা দুর্বার মহিলা সমিতির সদস্য রবি ঘোষ এই প্রসঙ্গেই বলেন "ভিনরাজ্য থেকে আসা কোনও গাড়ি দেখলেই দালালরা তাদের ছেঁকে ধরছে । নানাভাবে তাদের লোভ দেখিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের লম্বা চওড়া বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । বিলেতেই একটি বিয়ারের দাম লেখা হচ্ছে 2 হাজার টাকা । নাচ দেখতে নেওয়া হচ্ছে 80 হাজার টাকা । ক্রেতারা বাধ্য হয়ে বাড়ির লোককে ফোন করে ফোন পে কিংবা গুগল পে'তে টাকা চাইছেন। আর টাকা না-দিতে পারলেই চলছে মারধর। এমনকী সোনার চেন, আংটি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ।''

দালালদের এই অত্যাচারে অতিষ্ঠ যৌনকর্মীরাও। তাদের বক্তব্য দালালদের ভয়ে ভিনরাজ্য থেকে ক্রেতা আসা কমে যাচ্ছে। এইভাবে অত্যাচার চলতে থাকলে যৌনকর্মীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভয়ে অনেক লোক আসছে না। প্রতিবাদ করলে অথবা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ দালালদের গ্রেফতার করে । তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না ৷

আরও পড়ুন :বার ডান্সারের সঙ্গে উদ্দাম নাচ তৃণমূল নেতার ! ভাইরাল টাকা ওড়ানোর ভিডিয়ো

সূত্রের খবর, এক শ্রেণির দোকানদার এবং বাড়ি মালিকদের প্রশ্রয়েই এই দালালরা নিষিদ্ধপল্লিতে দাদাগিরি চালাচ্ছে দাদালরা । পুলিশ অভিযোগ পেলে দোকান এবং ঘর সিল করে । কয়েকদিন পর ফের নতুন করে সবই খুলে যায় । দালালরা ছাড়া পেয়ে যায় আবার যে কে সেই । একই অত্যাচার চলতে থাকে । নিষিদ্ধপল্লি এলাকার সমাজসেবী এবং যৌনকর্মীরা জানাচ্ছেন পুলিশ যদি একটু সক্রিয়ভাবে কাজ করে তাহলে এই দালাল প্রথা বন্ধ হবে । শান্তি ফিরবে যৌনপল্লিতে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details