আসানসোল, 7 নভেম্বর: নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আসানসোলের বিস্তীর্ণ ধস কবলিত এলাকার জন্য 2400 কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছিল ইসিএল । কিন্তু আজও 90 শতাংশ মানুষ পুনর্বাসন পায়নি । আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, কেন্দ্র টাকা দিলেও সেই টাকা চুরি হয়েছে । ফলে উপভোক্তারা বাড়ি পাচ্ছেন না । অন্যদিকে পুনর্বাসন প্রকল্পের নোডাল এজেন্ট এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 2400 কোটির জায়গায় মিলেছে মাত্র 620 কোটি টাকা । যেমনভাবে টাকা আসছে, কাজও সেই ধাপে ধাপে হচ্ছে । কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের এই টানাপোড়েনে প্রাণ হাতে নিয়ে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে 50 হাজার ধস কবলিত মানুষকে ।
1997 সালের জুন মাসে ডেপুটি জেনারেল অফ মাইনস সেফটি একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কয়লা খননের কারণে রানিগঞ্জ খনি অঞ্চলে 146টি মৌজা ধস কবলিত ও বিপজ্জনক । 139টি মৌজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিতে হবে । সেই সময় আসানসোলের তৎকালীন সিপিএম সাংসদ হারাধন রায় দাবি করেন, পুনর্বাসনের যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে ইসিএলকে ।
সেই বছরই তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে 1999 সালে ইসিএল পুনর্বাসনের একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে । মোট 2400 কোটি টাকা মঞ্জুর হয় ধস কবলিতদের ধস পুনর্বাসনের জন্য। ঠিক হয় টাকা দেবে ইসিএল । প্রকল্পটির নোডাল এজেন্ট হয়ে কাজ করবে এডিডিএ । বাম আমলে ততকালীন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরি এডিডিএ চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু ধস কবলিতদের চিহ্নিত করতে ও তাঁদের পরিচয়পত্র প্রদান করতেই বহু সময় চলে যায় ।
এরই মাঝে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয় । এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান হন তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু কাজ যে গতিতে হওয়ার কথা ছিল, তেমন গতিতে হয়নি । অন্ডালে বাড়ি তৈরির কাজ শেষের মুখে হলেও জামুড়িয়ায় আবাসনের কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা । সালানপুরেও জমিজটে আটকে গিয়েছে কাজ । প্রশ্ন উঠছে, কবে পুনর্বাসন মিলবে ?