আসানসোল, 29 মার্চ: আদিবাসী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার তিনজনকে গ্রেফতার করল হীরাপুর থানার পুলিশ (Asansol Tribal Engineering Student Body Recover)। দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে ৷ পুলিশের দাবি এই তিনজনই খুনের সঙ্গে যুক্ত । তবে কী কারণে খুন তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানায়নি পুলিশ । মনে করা হচ্ছে প্রণয়জনিত কারণেই খুন হয়েছেন কোয়েল হাঁসদা নামে ওই ছাত্রী । খুনের মোটিভ জানতে পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় । বুধবার গ্রেফতারের পরেই ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের 7 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ।
হীরাপুর নিউটাউন সংলগ্ন ধুলোমাখা গ্রামের বাসিন্দা কোয়েল আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন । সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি ৷ বাড়ির লোকেরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি । এরপর মঙ্গলবার রাতে নিউটাউনের একটি ফাঁকা এলাকায় উদ্ধার হয় কোয়েলের দেহ । বুধবার সকালে এই খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । আসানসোলের আদিবাসী সমাজের লোকজন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা হীরাপুর থানা ঘেরাও করে । পুলিশ তাদের আশ্বাস দেয় তদন্ত চলছে । দ্রুত ধরা পড়বে অভিযুক্তরা ।
এরপরই বুধবার দুপুরে গ্রেফতার হয় তিনজন ৷ মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তিনজনের নাম সমীর মাড্ডি, রোহিত হাঁসদা ও সুনীতা হেমব্রম ৷ এর মধ্য়ে সমীরের বয়স 24, রোহিতের 22 ও সুনীতার 25 ৷