আগরতলা, 5 জুন : ছোট্ট একচিলতে ঘর । টিনের চাল । সেখানেই চার জনের সংসার । পরিবারে হাজারো অভাব-অনটন । তার মধ্যেই একটু একটু করে বড় হচ্ছে আগরতলা বর্ষা দাস । পড়াশোনা করছে । স্কুলে যাচ্ছে । এখন ক্লাস এইট । দু'বছর পরেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা । কিন্তু পরিবারের অস্বচ্ছলতা ক্রমেই পড়াশোনার মাঝে অন্তরায় হয়ে উঠছে । নিরুপায় বর্ষা । চারিদিকের দেওয়ালগুলো ক্রমেই ছোট হয়ে আসছিল । ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বর্ষা তাই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের (Biplab Kumar Deb) কাছে সাহায্য চাইল ফেসবুকে । আর সেই ভিডিয়ো নজরে আসা মাত্র বর্ষার পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী ।
আগরতলা সংলগ্ন মহেশখলায় ছোট্ট একচিলতে ঘর উত্তম দাসের । এক বেসরকারি সংস্থায় সামান্য বেতনে কাজ করেন । স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে নিয়ে চারজনের সংসার । এমনি সময়েই সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খান উত্তমবাবু । এখন করোনাকালে তা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে । তাও নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন । টিনের একচালা ঘরটির বদলে একটি পাকা বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন । সেখানেও একটা বড় খরচ । এদিকে মেয়ে বর্ষা স্থানীয় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ক্লাস এইটে পাঠরতা । সবদিক একসঙ্গে সামলে উঠতে পারছিলেন না উত্তমবাবু । মেয়ের পড়াশোনারর জন্য একটি টেবিলও পর্যন্ত কিনে দিতে পারছেন না ।
নিরুপায় হয়ে বর্ষা ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো আপলোড করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছে সাহায্য চেয়ে । ভিডিয়োয় সে জানায় তাদের পরিবারের কথা । মা-বাবা ও এক ভাইয়ের পরিবার একটি ছোট্ট ঘরে থাকে । তার বাবার আর্থিক অবস্থার কথা জানায় বর্ষা । পড়াশোনার জন্য একটি টেবিল পর্যন্ত যে কিনতে পারছে না, সেই কথাও বলে ।