কলকাতা, 12 অগস্ট : ক্রমেই ত্রিপুরায় তৃণমূল আর বিজেপির লড়াই জমে উঠেছে । একদিকে বিপ্লব দেবের সরকার (Biplab Kumar Deb) যত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হচ্ছে তৃণমূল ততই সে রাজ্যে সক্রিয় হচ্ছে । প্রত্যেক দিন নিয়ম করে নতুন মুখ ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখছেন । নির্বাচনে লড়াইয়ের ঢের দেরি থাকলেও, রাজনীতির লড়াই জমে গিয়েছে ত্রিপুরায় । ত্রিপুরায় গিয়ে আহত যুবনেতা সুদীপ রাহা ও নেত্রী জয়া দত্তকে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ত্রিপুরায় পরিবর্তন হবেই । রং বদল হবে সেখানে । একই ভাবে দিল্লিতেও সরকার বদল হবে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার অর্থাৎ আগামিকাল ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের 4 সাংসদ । সঙ্গে ফের যাচ্ছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, ঘাসফুল শিবিরের তরফ থেকে স্বাধীনতা দিবস ও 16 অগস্ট খেলা হবে দিবস (Khela Hobe Divas) পালনের উদ্দেশ্যে ত্রিপুরা পাড়ি দিচ্ছেন এই পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল । প্রতিনিধি দলে থাকছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ৷ থাকছেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সদস্য আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং অর্পিতা ঘোষ ।
ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আশিসলাল সিংহ জানিয়েছেন, এই পাঁচ নেতাকে আগামী 16 অগস্ট পর্যন্ত ত্রিপুরায় থাকতে বলা হয়েছে । 15 অগস্ট ত্রিপুরায় দলের তরফে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে এবং তার পরদিন 16 অগস্ট খেলা হবে দিবস । দলের দু'দিনের এই কর্মসূচি পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবেন এই নেতা-নেত্রীরা । দলের তরফে বলা হয়েছে, যদি কোথাও কোনও অসুবিধা হয়, সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যেন তাঁরা যোগাযোগ করেন ৷