কলকাতা, 6 অগস্ট : 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার অবসান ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ তার পর তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) একই সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাতেও (Tripura) বামেদের হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা মাঝপথেই ভেস্তে যায় ৷ আর বিজেপির (BJP) বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) নেতৃত্বে সেখানে অবসান হয় বামফ্রন্ট সরকারের ৷
2018 সালে ক্ষমতায় আসা সেই বিপ্লব দেবের সরকারকে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) জিততে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি ৷ কিন্তু তাদের সফল হতে দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তাই তিনিই এখন বিজেপি বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মুখ ৷ আর এই গ্রহণযোগ্যতাকে হাতিয়ার করেই ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফোটাতে নেমেছে মমতার দল ৷
আরও পড়ুন :Farmers Protest : পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ফের কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ তার পর থেকেই ত্রিপুরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ৷ কারণ, এক সময় মুকুল ছিলেন তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ৷ তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন একাধিক বিধায়ক ৷ তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তাঁরাই আবার গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যান ৷ তাই অনেকের ধারণা ছিল এবার ত্রিপুরা-বিজেপিতেও ভাঙন সময়ের অপেক্ষা ৷
কিন্তু সেই ধারণা এখনও সত্য হয়নি৷ আর ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মকাণ্ডে মুকুল রায়কে এখনও পর্যন্ত সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি ৷ তা সত্ত্বেও সেখানকার রাজনীতি সরগরম করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এর জন্য দায়ী সেখানকার বিজেপি সরকারই ৷ কারণ, তারাই তৃণমূলকে সেখানে হইচই করার সুযোগ করে দিয়েছে ৷
আরও পড়ুন :Mallikarjun Kharge : সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের রাজ্যসভায় ঢুকতে বাধা, সরব বিরোধী দলনেতা