নদিয়া, 6 সেপ্টেম্বর :লকডাউনের জেরে বন্ধ পরিবহন ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন কাপড় বিক্রি না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে প্রায় 40 হাজারের বেশি শিল্পী । নদিয়ার ফুলিয়া তাঁত শিল্প এখন সংকটে । মূলত সেই কথা মাথায় রেখে রবিবার সরকারের তরফ থেকে তাঁতিদের কাছ থেকে প্রায় 25 লাখ টাকার তাঁত শাড়ি কেনা হল । নদিয়ার শান্তিপুর ফুলিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলে গঠিত তাঁতিদের সমবায় থেকে সরকারিভাবে কাপড় কেনার ব্যবস্থা পূর্বেও ছিল। বর্তমানে কোরোনা আবহে বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তাদের উৎপাদিত শাড়ি দীর্ঘ লকডাউন চলাকালীন ক্রমেই জমা হয়ে পড়ে থেকেছে বাড়িতে। কাপড় বিক্রি না থাকায় মহাজনও মজুরি, সুতো , বা তাঁতের সরঞ্জাম কিনতে তাঁতিদের সহযোগিতার বিষয়ে অনাগ্রহী। অন্যদিকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কাপড় উৎপাদনের সামগ্রী কিনতে সমর্থক নন তারা। তাই এই পেশার সাথে যুক্ত নদিয়ার বেশিরভাগ মানুষ অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে শাড়ি কেনার উদ্যোগ তন্তুজের - tantuj
কোরোনা আবহে নদিয়ার ফুলিয়া তাঁত শিল্প সংকটে ৷ লকডাউনে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তৈরি করা কাপড় বিক্রি করতে পাচ্ছে না শিল্পীরা ৷ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তন্তুজ।

মূলত,তাদের কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার ফুলিয়ায় তন্তুবায় সমিতির ঘরে বসে বেশকিছু তাঁতিদের কাছ থেকে 50 পিস করে শাড়ি কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তন্তুজ। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর, তন্তুজের বিপণন বিভাগের অধিকর্তা শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভাগীয় বিভিন্ন অফিসারগণ। কাপড় বিক্রি করতে আসা তাঁতিদের মধ্য থেকে অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন "উৎপাদন খরচের থেকে বেশ খানিকটা কম হলেও সাময়িক কিছুদিন উৎপাদনের কাজ চালাতে পারবো ৷ লাভ হয় তো হল না ৷ কিন্তু খরচের অর্থটাও অন্তত মিললে মনকে সান্তনা দেওয়া যেত। "
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উত্তরে তন্তুজের বিপণন আধিকারিক জানান, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তন্তুজের শোরুমগুলির বিক্রির অবস্থা খুব খারাপ ৷ বিভিন্ন রিবেটের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা যায় কিনা সেটাই চেষ্টা করে দেখা হচ্ছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু জানান, "বাধ্যতামূলক নয়, যদি কেউ মনে করেন ব্যবসার গতি ফেরানোর জন্য বিনা লাভে কাপড় বিক্রি করতে রাজি থাকেন তবেই দেবেন।" তাঁতিদের উইভার্স কার্ভ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জমা করে তবে মিলছে বিক্রির সুযোগ। এরপরে থাকছে পছন্দের বিষয়টি ৷ তারপরে প্রাপ্ত দামের উপর বিচার করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁতিরা। তবে বিক্রিত অর্থ চেক বা ক্যাসে নয়, তাঁতিদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে 15 দিনের মধ্যে ৷ এমনটাই জানাল তাঁত শিল্পীরা ।