রাণাঘাট,10 জুন : স্টেশনে বসে গান গাইতেন । সোশাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান । রাণাঘাট স্টেশন থেকে সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়ার রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় পৌঁছে যান রানু মণ্ডল। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে ছবিটা যেন আগের মতোই থেকে গেছে । এখন একপ্রকার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন একসময়ের সোশাল মিডিয়া সেনসেশন রানু । আজকাল আর কেউ তাঁর বাড়ি তেমন আসে না । আগের মতো খোঁজ নেয় না কেউ ।
কখনও রাস্তার পাশে, আবার কখনও রাণাঘাট স্টেশনে ঘুরে বেড়াতেন । গায়ে নোংরা ছেঁড়া জামা। আপন মনে গান গাইতেন । স্টেশন চত্বরে খাবার চেয়েই পেট চলত । একদিন রাণাঘাট স্টেশনে বসেই নিজের মনে গান গাইছিলেন রানু মণ্ডল । "কুছ পা কর খোনা হ্যায়, কুছ খো কর পানা হ্যায়" । পাশে বসে থাকা অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক যুবকের মনে ধরে সেই গান । রানুর গান মোবাইলে ভিডিয়ো করে ফেসবুকে আপলোড করেন তিনি । লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গান রাতারাতি রানুর জীবন বদলে দেয় । দিন কয়েকের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর গানের ভিডিয়ো । সংবাদ মাধ্য়ম থেকে শুরু করে ছোটো ছোটো মিউজ়িক কম্পানি ভিড় জমাতে শুরু করে তাঁর বাড়িতে । রাণাঘাট বেগোপারার বাসিন্দাদের পাশাপাশি গোটা জেলার মানুষ দেখা করতে শুরু করে রানুর সঙ্গে ।
এতদিন স্টেশনে রাত কাটাচ্ছিলেন মা । এবার তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায় মেয়ে । রুপোলি পর্দার আলো এবার ছুঁয়ে ফেলে রানুকে । রিয়্যালিটি শো-তে যান । সেখানে নজরে পড়েন হিমেশের । রাণাঘাট থেকে রানু পাড়ি দেন মুম্বইয়ে । তাঁর এই যাত্রায় সবসময় সঙ্গে ছিলেন স্টেশনের ওই অপরিচিত যুবক অতীন্দ্র । হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে একটি গান রেকর্ড করেন তিনি। সেই "তেরি মেরি কাহানি" গানটিও হিট করে। এরপর নিজের নানা মন্তব্যে বারবার সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল হন রানু । রাতারাতি যে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ধীরে ধীরে কোথাও যেন তা ম্লান হয়ে যায় । মাস দুয়েক আগে শোনা যায়, মুম্বই থেকে কোনও এক অনুষ্ঠানের জন্য কেরালা গিয়েছিলেন তিনি । তারপর আর কোনও খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি ।