নদিয়া, 11 এপ্রিল: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিব মন্দিরের চড়ক পুজো জেলার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু এবার লকডাউনের জেরে বন্ধ সেই শিবপুজো। বন্ধ চড়কের মেলা ৷ মেলার জন্য জমানো টাকা দিয়ে দুস্থ মানুষের মধ্যে চাল , ডাল, আলু সহ 500 ওজনের মাছ বিতরণ করল শিবনিবাস পরিচালন সমিতি।
লকডাউনের জেরে দুস্থ মানুষগুলির কাজকর্ম বন্ধ ৷ দুবেলা দু মুঠো খাবার জোগাড় করা দায়৷ দুস্থদের রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছে কিছু সংস্থা l আবার কোনও সংস্থার লোকজন তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন বিভিন্ন জিনিসের প্যাকেট l তবে সেইসব সামগ্রীর মধ্যে মূলত চাল ,ডাল ,তেল, নুন, আলু এই ধরনের জিনিসই সবথেকে বেশি l লকডাউনের কারণে বাড়িতে বসে থাকা এইসব মানুষের খাবারের রুচিরও তো বদল ঘটেছে এতে l ভালোমন্দ কিছু একটা খাবার সাধ কার না জাগে l বিশেষ করে মাছে ভাতে বাঙালির ক্ষেত্রে এক পিস মাছ খাওয়ার ইচ্ছা তো জাগতেই পারে l আর সেই ইচ্ছের বিষয়টা অনুভব করতে পেরেছেন নদিয়ার আঠারো আগস্ট পরিচালন কমিটির সদস্যরা l তাই দুস্থদের চাল, ডাল, তেল, নুনের সঙ্গে তুলে দিলেন পাঁচশো গ্রাম করে বাটা মাছ l মাছ রান্না করার জন্য তুলে দিলেন মশলাও l মাছে ভাতে বাঙালির স্বাদ মেটানোর জন্য তাঁরা দিলেন তিন কেজি করে ফাইন চাল, দুকেজি আলু, পাঁচশো মুসুর ডাল, পাঁচশো গ্রাম সরষের তেল, নুন, হলুদ, জিরেগুঁড়ো, পাঁচফোড়ন, পাঁচশো বাটা মাছ, এবং সঙ্গে মাছের ঝোল রান্না করার মশলা l কৃষ্ণগঞ্জ থানার শিবনিবাস, হালদারপাড়া, বাঘাযতিন পল্লি(খাসপাড়া) সহ ওই এলাকার নিতান্তই গরিব পরিবারের মানুষের হাতে এইসব খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন তাঁরা l
মেলা বন্ধ রেখে দুস্থদের চাল-ডালের পাশাপাশি মাছ বিতরণ কৃষ্ণগঞ্জে - Nadia
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন ৷ লকডাউনের জেরে জমায়েত রুখতে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিব মন্দিরের চড়ক পুজো বন্ধ রাখার সিধান্ত নিয়েছেন মেলা কমিটি ৷ মেলার জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে থাকে, সেই টাকা খরচ করে দুঃস্থ এবং নিতান্ত গরিব মানুষদের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন শিবনিবাস পরিচালন সমিতি ও আঠারো আগস্ট পরিচালন সমিতি
আগামী সোমবার চড়ক পুজো l তবে এবার লকডাউনের কারণে অনেক জায়গাতেই বসবে না মেলা l শিবনিবাস মন্দিরের পাশে প্রতিবছর আঠারো আগস্ট পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে চড়ক পুজোর বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে l ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ l যদিও কোরোনা সংক্রমণ রুখতে এবার সেই মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে আয়োজক কমিটি । মেলার জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে থাকে, সেই টাকা খরচ করেই দুস্থ এবং নিতান্ত গরিব মানুষদের জন্য বিতরণ করা হল খাদ্যসামগ্রী l ওই সমিতির লোকজন জানিয়েছেন, গৃহবন্দী বাঙালিরা মাছ খেতে ভালোবাসেন l মাছে-ভাতে সেইসব বাঙালি যাতে ভাত, ডাল, আলু ভাজা, মাছের ঝোল দিয়ে খেতে পারেন তৃপ্তি করে, সেই চিন্তাভাবনা করেই এই উদ্যোগ l