শান্তিপুর, 11 এপ্রিল : সকাল থেকে হঠাৎ বিধায়কের বাড়িতে লম্বা লাইন। প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষের ভিড়। বাড়িতে খাদ্যভাণ্ডার শূন্য। দু'মুঠো খাবারের জন্য চালের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষের এই দাবি শুনে বিধায়ক নিজে ATM থেকে টাকা তুলে বাজার থেকে চাল কিনে আনলেন। এবং তা বিলি করলেন সকলের মধ্যে।
কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যার জেরে স্তব্ধ গোটা দেশ। বন্ধ পরিবহন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমস্ত দোকানপাট। কাজ হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে? বাড়িতে বসে থেকে প্রায় শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্যভাণ্ডার। সরকারের পক্ষ থেকে রেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দুবেলা পেট ভরে খাওয়ার মতো পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য রেশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। খিদের টানে অবশেষে অসহায় অবস্থায় বিধায়কের বাড়ির সামনে হঠাৎ লাইন পড়ল সাধারণ মানুষের। তাঁদের কথা ভেবে সকালে নিজেই ATM থেকে টাকা তুলে বাজারে গিয়ে চাল কিনে আনলেন নদিয়ার শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। এরপর তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করলেন নিজেই।
বাড়ির সামনে ভিড় অভুক্তদের, নিজেই চাল কিনে এনে বিলি করলেন বিধায়ক - খাদ্যভান্ডার
কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন ৷ যার জেরে বন্ধ দোকানপাট, কাজকর্ম ৷ সাধারণ মানুষের বাড়িতে খাদ্যভাণ্ডার শূন্য।
নিজে বাজার থেকে চাল কিনে এনে বিলি করলেন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে কেউ না খেয়ে মরবে না। সকলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেওয়া হবে। পৌরসভা এলাকায় এক একটি ওয়ার্ডে পাঁচ কুইন্টাল করে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কিন্তু সেই চাল গেল কোথায়? বিধায়কের বাড়ির সামনে লাইন দেওয়া মানুষদের মধ্যে একজনের বক্তব্য, "কাউন্সিলরের কাছে চাল চাইতে গেলে তাঁদের লোকজন বলছেন বিধায়কের কাছে যেতে। এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা।"