পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

জমিতে পচছে কুমড়ো, ক্ষতিগ্রস্ত নদিয়ার চাষিরা

মাঠে পড়েই নষ্ট হচ্ছে কয়েক হাজার কুইন্টাল কুমড়ো । এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি কোনও সাহায্য না করে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই ৷ বললেন নদিয়ার কুমড়ো চাষিরা ৷

pumpkin-farmers-are-in-loss-due-to-lockdown-in-nadia
জমিতে পচছে কুমড়ো, ক্ষতিগ্রস্থ নদিয়ার কুমড়ো চাষিরা

By

Published : Apr 21, 2020, 12:08 AM IST

নদিয়া, 20 এপ্রিল : মাঠে পড়েই নষ্ট হচ্ছে কয়েক হাজার কুইন্টাল কুমড়ো । এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি কোনও সাহায্য না করে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই ৷ বললেন নদিয়ার কুমড়ো চাষিরা ৷

কোরোনা ভাইরাসের থাবায় গোটা বিশ্ব । দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে । নদিয়াতেও ইতিমধ্যেই 6 জনের শরীরে দেখা গেছে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ ৷ কোরোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে লক়ডাউন ৷ যার জেরে বন্ধ পরিবহন ব্যবস্থা । লকডাউনের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে অন্যান্যদের মতো সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা । নদিয়া জেলায় বেশিরভাগ মানুষই চাষের উপর নির্ভরশীল । তাদের মধ্যে অন্যতম কুমড়ো চাষ । নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর এলাকার প্রায় 100 -র বেশি চাষি কুমড়ো চাষ করে সংসার চালান । কেউ ভাগে চাষ করেন আবার কেউ কৃষি ঋণ নিয়ে কুমড়ো চাষ করেন ।

এক কুমড়ো চাষি স্বপন ঘোষ বলেন, " মাঠ থেকে কুমড়ো আনতে 1টি গাড়িতে খরচ 2 হাজার টাকা । কুমড়োগুলো এখন এনে বাগানে রেখে দেওয়া হয়েছে । আর সেখানেই পচে নষ্ট হচ্ছে কুমড়ো । লেবার এবং গাড়ির মালিক এসে টাকা চাইছে । টাকা না দিলে মারধর করার হুমকি দিচ্ছে । কিন্তু আমরা টাকা পাব কোথায় । ধার করে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে কুমড়ো চাষ করেছি । এই অবস্থায় সরকার যদি কোনও সাহায্য না করে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না । "

অন্য এক কুমড়ো চাষি বলেন, " লকডাউনের জেরে গাড়ি বন্ধ, ক্রেতারাও আসছে না । আমি মূলত ভাগচাষি । প্রচুর টাকার কৃষি ঋণ নিয়ে কুমড়ো চাষ করি । কিন্তু এবছর কুমড়ো জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে । সরকার যদি না সাহায্য করে, মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই । " আর এক কুমড়ো চাষি বিনয় করে বলেন, " এবছর আমি 5 বিঘা জমিতে কুমড়ো চাষ করেছি । কৃষি ঋণ নিয়ে মূলত আমরা কুমড়ো চাষ করি । কুমড়ো যদি বিক্রি না হয় শোধ করব কোথা থেকে । এই অবস্থায় সরকার যদি সাহায্য না করে তাহলে পরিবারসহ আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । "

এ বিষয়ে গয়েশপুরের উপপ্রধান চাষিদের দুর্দশার কথা স্বীকার করেছেন । উপ প্রধান মিতা ঘোষ বলেন, " চাষিরা অনেকে আমার কাছে এসেছিলেন । তাঁরা গাড়িতে করে কুমড়ো নিয়ে যেতে পারছেন না । আমরা প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যাতে চাষিদের কুমড়োগুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় তা চেষ্টা করব । "

ABOUT THE AUTHOR

...view details