পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পুজোর চমক শান্তিপুরের "কোরোনা 2020" শাড়ি - নদিয়া স্পেশাল স্টোরি

বিশ্বজুড়ে এখন একটাই নাম, কোরোনা ভাইরাস । এই ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল সকলেই । এই ভাইরাস এবং তা রুখতে লকডাউনের জেরে এক সময় প্রায় বন্ধের মুখে পড়েছিল তাঁত শিল্প । তবে এই ভাইরাসকেই এখন হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে শান্তিপুরের তাঁতিরা । সেখানকারই এক তাঁত ব্যবসায়ীর এবারের পুজোর চমক কোরোনা 2020 শাড়ি ।

শান্তিপুর কোরোনা শাড়ি
কোরোনা 2020 শাড়ি

By

Published : Sep 29, 2020, 9:31 PM IST

নদিয়া, 29 সেপ্টেম্বর : এবার শাড়িতেও কোরোনা ভাইরাস । পুজোর আগে চমক দিতে কোরোনা ভাইরাসের ছবি আঁকা শাড়ি তৈরি করলেন নদিয়ার শান্তিপুরের তাঁত ব্যবসায়ী । শাড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে কোরোনা 2020 ।

দেশে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার পর অনেকটাই পালটে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা । দীর্ঘদিন গোটা দেশের পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণে থমকে গেছে অর্থনীতির চাকা । কোরোনা এবং তা রুখতে লকডাউনের জেরে এক সময় প্রায় বন্ধের মুখে পড়েছিল তাঁত শিল্প । তবে এই ভাইরাসকেই এখন হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে শান্তিপুরের তাঁতিরা । সেখানকারই এক তাঁত ব্যবসায়ীর এবারের পুজোর চমক কোরোনা শাড়ি ।

দীর্ঘ 50 বছর ধরে তাঁতের শাড়ির ব্যবসা করছেন নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা অরুণকুমার ঘোষ । তিনি জানিয়েছেন, "এর আগেও কলকাতার ঘোড়ায় চলা ট্রামের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাঁতের শাড়িতে । সেই শাড়ি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল । পরবর্তীকালে কার্গিল যুদ্ধে ব্যবহৃত বোফর্স কামানের নাকশা এঁকে শাড়ি বানাই । দেশজুড়ে রমরমিয়ে চলেছিল সেই শাড়ি । মূলত বর্তমান পরিস্থিতিতে কী চলছে তার ওপরেই ভিত্তি করে আমরা অনেক সময় শাড়ি তৈরি করি । সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার কোরোনা শাড়ি তৈরি করার ভাবনা আসে । কারণ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে শুধু একটাই নাম কোরোনা । সেই কারণেই শাড়িতে কোরোনা ভাইরাসের নকশা করেছি ।

অরুণবাবু আরও বলেন, "প্রাথমিকভাবে আমরা 600টি কোরোনা শাড়ি তৈরি করেছি । 320টি শাড়ি ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়েছে । তবে লকডাউনে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল না থাকায় বিক্রি হতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে । তবে বাকি শাড়িগুলির বিক্রি হয়ে গেলে আবার শাড়ি তৈরির কাজ শুরু করবো ।এই শাড়ি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় 300 টাকা । পাইকারি বাজারে এর দাম থাকছে 320 থেকে 330 টাকা ।"

কোরোনা শাড়ি তৈরি করা এক তাঁত শিল্পী প্রবীর সাহা বলেন, "আমাদের মূলত নকশা তৈরি করে দিয়েছেন মহাজন । আমরা সেই নকশা ধরেই শাড়িগুলি তৈরি করেছি । একদিনে চারটে থেকে পাঁচটা করে শাড়ি তৈরি করতে পারি । তবে এবছর পরিবহণ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে কতটা প্রভাব ফেলবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না । কোরোনা আবহে কোরোনা শাড়ি তৈরি করতে পেরে খুশি ।"

নদিয়ার শান্তিপুরে কোরোনা শাড়ি

তবে ঘোড়ায় টানা ট্রাম এবং কার্গিলের বোফর্স কামানের নকশা আঁকা শাড়ি যতটা বাজারে প্রভাব ফেলেছিল ততটা প্রভাব কোরোনা শাড়ি ফেলবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁত ব্যবসায়ীরা । তবে পুজোর আগে কোরোনা শাড়ি আলাদা চমক দেবে বলেই আশাবাদী তাঁরা ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details