কৃষ্ণগঞ্জ, ২ মার্চ : "যারা খুনে ইন্ধন দিচ্ছে, তারা এককালে আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন আর নেই। কচড়া যদি থাকে তাহলে ওইরকম তো হবেই। তার থেকে ভালো কী হবে? রাজনীতি তো কাউকে করতে দেয় না। খালি পুলিশ দিয়ে খুনখারাপি করে।" নদিয়া জেলার দলীয় নেতা সুদিন সোম খুনের ঘটনায় নাম না করে মুকুল রায়কে এভাবেই আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যারা খুনে ইন্ধন দিচ্ছে তারা একসময় আমাদের দলে ছিল : পার্থ
"যারা খুনে ইন্ধন দিচ্ছে, তারা এককালে আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন আর নেই। কচড়া যদি থাকে তাহলে ওইরকম তো হবেই। তার থেকে ভালো কী হবে? রাজনীতি তো কাউকে করতে দেয় না। খালি পুলিশ দিয়ে খুনখারাপি করে।"
বৃহস্পতিবার বিকেলে চাকদা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুদিন সোমকে দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়ির কাছেই খুন করে। এই খুনের পিছনে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভঙ্কর মজুমদার নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। পাশাপাশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে, ওই ব্যক্তি BJP কর্মী।
গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "BJP-কে আবার বলছি, এসব খুনখারাপি করে আটকানো যায়নি। যে চিহ্নিত সে BJP-র লোক। লক্ষ্য রাখব। তৃণমূল কর্মী খুন করে, নেতা খুন করে তৃণমূলকে শেষ করা যায়নি। মমতা ব্যানার্জিকে আটকানো যাবে না।" মুকুল রায়ের নাম না করে তিনি বলেন, "কচড়া যদি থাকে তাহলে এরকমই হবে। তার থেকে ভালো কী হবে? রাজনীতি তো কাউকে দেয় না। খালি খুনখারাপি। পুলিশ দিয়ে তখন এটাই প্র্যাকটিস ছিল। আমি বলছি, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। যুব নেতাকে খুন করা হচ্ছে। আমাদের বিধায়ককে খুন করা হল। সবকটার পিছনে BJP-র হাত। BJP যেন না মনে করে এই হত্যার বিচার হবে না। কঠোরতম শাস্তি হবে দোষীদের।"