ফুলিয়া, 24 মার্চ:14 বছর আগের এক দিন ৷ সেদিন ভীষণ ঝড়-জল হচ্ছিল ৷ জরুরি কাজ সেরে সহধর্মিণী ভারতীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন সত্যরঞ্জন প্রামাণিক ৷ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন একটি গাছের নীচে ৷ হঠাৎই গাছের উপর থেকে সটান নীচে এসে পড়ে একটি টিয়াপাখির ছানা ৷ জলে ভিজে কাহিল ! একরত্তিটাকে পরম মমতায় নিজের হাতে তুলে নেন সত্যরঞ্জন ৷ বোঝেন, সে নিতান্তই 'দুধের শিশু' ৷ ঠিক মতো পালকও গজায়নি ৷ অসহায় পাখিটি সত্যরঞ্জনের হাতের তালুতে তিরতির করে কাঁপছিল ৷ প্রামাণিক দম্পতি তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন ৷
নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ফুলিয়ার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন প্রামাণিক ৷ পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন দুই ছেলে ৷ আর এই পরিবারেরই পঞ্চম সদস্য হল মিতুয়া ! মিতুয়া হল সেই টিয়াছানা, যাকে 14 বছর আগে উদ্ধার করেছিলেন প্রামাণিক দম্পতি ৷ তাঁদের কাছে মিতুয়া আরও এক সন্তান ৷ আর তাঁরা মিতুয়ার বাবা-মা ৷ দম্পতি জানালেন, বাড়ি আনার পর মিতুয়ার সেবা-যত্ন করা হয় ৷ তাতেই একসময় সুস্থ হয়ে ওঠে সে ৷ কিন্তু, বনের পাখিকে কোনও দিন খাঁচায় বন্দি করেননি তাঁরা ৷ তার পায়ে শিকলও পরানো হয়নি ৷ তবু মিতুয়া কোনও দিন উড়ে যায়নি (Parrot lives with Human Family) ৷