18 অগস্ট নদিয়ায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কৃষ্ণগঞ্জ, 18 অগস্ট: নদিয়া জেলায় স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় 18 অগস্ট ৷ প্রতিবছরের মতো কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস হাইস্কুল মাঠে এবছরও তেরঙা উড়ল 18 অগস্ট শুক্রবার ৷ এদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক আশিস বিশ্বাস ৷
এই বিষয়ে স্বাধীনতা উদযাপন কমিটির সম্পাদক অঞ্জন সুকুল জানালেন সেদিনের ইতিহাস ৷ 1947 সালের 12 অগস্ট যখন ঘোষণা হয়েছিল ভারতবর্ষকে দ্বিখণ্ডিত করা হবে ৷ 14 অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ও 15 অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন হবে ৷ তখন নদিয়ার মহকুমা ছিল পাঁচটা ৷ মেরপুর, চোয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর ৷ দুর্ভাগ্যের বিষয় নবদ্বীপ বাদ দিয়ে নদিয়ার পুরো অংশটাই পাকিস্তানে পড়ে গিয়েছিল ৷ 15 অগস্ট যখন সারা ভারতবর্ষের লোক স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আনন্দ-উৎসবে মেতেছে তখন নদিয়াবাসীর কাছে তা ছিল চরমতম দুঃখ ও বেদনার দিন ৷ সেই সময় আন্দোলন শুরু হয় ৷
লর্ড মাউন্টব্যাটেন তখন আন্দোনলকারীদের থেকে আন্দোলনের কারণ জিজ্ঞাসা করেন ৷ তৎকালীন নদিয়ার রানি জ্যোতির্ময়ীর দেবীর নেতৃত্বে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কাবু লাহিড়ী, প্রমথনাথ সুকুল সাবিত্রী দাস, অশ্বিনী কুমার দত্ত প্রমুখ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানান এটা হিন্দুপ্রধান জায়গা ৷ এটা ভারতে থাকা উচিত ৷ এই কথা শুনে মাউন্টব্যাটেন আন্দোলনকারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন ৷ যিনি ম্যাপ তৈরি করেছিলেন সেই সিডিল র্যাডক্লিফকে ডেকে আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত তা জিজ্ঞাসা করেন ৷ মাউন্টব্যাটেনের নির্দেশে র্যাডক্লিফ ফের ম্যাপ খুলে দেখেন ভুল তাঁরই হয়েছে ৷ এই ম্যাপ অনুযায়ী রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা ভারত ভূ-খণ্ডে থাকার কথা ৷
এরপর 1947 সালের 17 অগস্ট বেতারে ঘোষণা করা হয় আগামিকাল অর্থাৎ 18 অগস্ট সকাল 10টায় পূর্ব-পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা ভারত ভূ-খণ্ডে যুক্ত হবে ৷ সেই থেকে 18 অগস্ট নদিয়ার স্বাধীনতা দিবস ও ভারত-যুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে ৷
আরও পড়ুন : অনাদরে নারকেলবেড়িয়ার বাঁশের কেল্লা নড়বড়ে স্কুল, স্বাধীনতা দিবসে স্মরণে তিতুমীর