শান্তিপুর, 12 জানুয়ারি: ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী-কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে! ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ৷ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ধারা পাড়া গ্রামে। জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম বন্দনা মুদি (36)। তাঁর স্বামীর নাম মুক্তি মুদি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের একটি চাষের জমির পাশেই ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মহিলার দেহ দেখতে পান কৃষকরা ৷ এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী ৷ উপস্থিত হন রাানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল।
এ বিষয়ে রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, "বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।"
বন্দনা মুদির দাদা চাদু ধরার অভিযোগ, "মদ্যপ অবস্থায় মুক্তি প্রতিদিন অত্যাচার করত বন্দনার উপর ৷ আমরা মাঝে মধ্যে এসে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করতাম ৷ এই ঘটনা আগেও ঘটেছে ৷ আমাদের বিশ্বাস মুক্তিই আমার বোনকে খুন করা হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, মুক্তি মুদি কাজকর্ম না করে অহেতুক তার স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। অশান্তি বাড়লে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিত বন্দনা । মুক্তি এর আগেও একাধিকবার প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে তাঁকে।
অভিযুক্ত মুক্তি মুদির ভাই বিদু মুদির দাবি, তাঁর দাদা ও বৌদির সঙ্গে সাংসারিক কারণে কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তবে একই বাড়িতে তাঁরা বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়েছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন দাদা-বৌদি কেউ ঘরে নেই। এরপরেই তাঁদের কাছে খবর আসে, রক্তাক্ত অবস্থায় বৌদি বন্দনা মুদির দেহ উদ্ধার হয়েছে চাষের জমি থেকে। বিদুর স্ত্রীরও দাবি, মুক্তির সঙ্গে বন্দনার ঝামেলা হয়েছিল ৷ তার জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ পলাতক স্বামীর খোঁজ চলছে ৷