নয়াদিল্লি, 28 অগস্ট: সামনে এল ভারত থেকে পশ্চিম এশিয়ায় মানব পাচারের আরও একটি ঘটনা ৷ অভিযোগ, কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার একটি গরিব পরিবারের 40 বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ৷ ওই ব্যক্তির নাম সফিদুল শেখ ৷ এক দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, বর্তমানে রিয়াধে ওই ব্যক্তির দিন কাটছে অসহায় অবস্থার মধ্যে আটক অবস্থায়, আরও অন্যদের মতো ৷
নদিয়ার গন্ধিনা এলাকার বাসিন্দা সফিদুল শেখ ৷ তাঁর বাবার নাম নাফুরুদ্দিন শেখ ৷ জানা গিয়েছে, ভালো মাইনের চাকরির লোভ দেখিয়ে গত বছরের মার্চ মাসে ওই ব্যক্তিকে সৌদি আরবে নিয়ে যায় নাজু মণ্ডল নামে এক দালাল ৷ এর জন্য নাফুরুদ্দিনের পরিবারের কাছ থেকে 2 লক্ষ টাকাও নেয় ওই অভিযুক্ত ৷ কিন্তু, সৌদি আরবে গিয়ে সফিদুল বুঝতে পারে কোনও চাকরির জন্য তাঁকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ আরও কয়েকজনের সঙ্গে তাঁকে সেখানে 3-4 মাস আটকে রাখা হয় ৷ এরপর তাদের বাধ্য করা হয় স্বল্প বেতনে কাজ করতে ৷ কিন্তু সেই কাজও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি ৷ বর্তমানে আবার সফিদুলকে রিয়াধের একটি বাজারে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে খবর, অভিযোগ ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে ৷
এই বিষয়টি জানতে পারার পরেই সফিদুল শেখের অসহায় পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে পুলিশে, অভিযোগ দায়ের হয়েছে নাজু মণ্ডল নামে ওই দালালের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু পুলিশ নাকি ওই পরিবারটির থেকে এফআইআর গ্রহণ না করে তাদের পরামর্শ দিয়েছে আদালতে মামলা করার ৷ সোমবার সফিদুলের বাবা নাফুরুদ্দিন বিষয়টি জানিয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে রাজ্যের মাইগ্র্যান্ট লেবর ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কাছে ৷ ছেলেকে রিয়াধ থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সাহায্য চেয়েছে পরিবারটি ৷
আরও পড়ুন: স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়েকে বিক্রি করে প্রেমিককে বিয়ে! মায়ের খোঁজে পুলিশ
ওই আবেদনপত্রে সফিদুলের বাবা জানিয়েছেন, কাজের অভাবে তাঁদের সংসার ঠিকমতো চলছিল না ৷ এমনকি দিনে দু'বেলা ঠিকমতো খাবারও জুটছিল না তাঁদের ৷ অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটছিল পরিবারের ৷ এমন সময় নাজু মণ্ডল নামে এক দালাল সফিদুলের বাড়িতে যায় ৷ এই অভিযুক্তের বাবার নাম চাঁদ আলি মণ্ডল, সে স্থানীয় নন্দলপুর এলাকার বাসিন্দা ৷ নাফুরুদ্দিনের আরও দাবি, নাজু মণ্ডল তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিল ছেলেকে সেখানে পাঠিয়ে ভালো মাইনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে ৷ কিন্তু তার জন্য 2 লক্ষ টাকা লাগবে ৷ নাফুরুদ্দিনের কথায়, "আমি সেই আশ্বাসে বিশ্বাস রাখি ৷ সম্পত্তি বেচে ও চড়া সুদে দেনা করে 2 লক্ষ টাকা জোগার করে নাজু মণ্ডলের হাতে তুলে দিই ৷ "