কৃষ্ণনগর, 21 সেপ্টেম্বর: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত প্রতিমা শিল্পী সুবীর পাল ৷ মূতি তৈরি শিখেছিলেন তাঁর বাবা বীরেন পালের কাছে থেকে ৷ বছরের পর বছর ধরে মূর্তি তৈরি করে আসছেন তাঁরা ৷ এবার বাবার সঙ্গে মূর্তি তৈরিতে হাত মেলালেন কন্যা সহেলি পাল ৷ নারীর হাতেই প্রাণ পাচ্ছে ‘মৃন্ময়ী’ মা ৷ এক কথায় মাতৃরূপেনও ৷
শিল্পী পরিবারে ধারা বজায় রাখতেই বাবার সঙ্গে প্রতিমা তৈরিতে হাত মিলিয়েছেন সহেলি (Krishnanagar Women Artist) ৷ মৃৎশিল্পী সহেলি পালের তৈরি দেবী দুর্গা এখন একাধিক বারোয়ারি মণ্ডপে। মৃৎশিল্প কে বাঁচিয়ে রাখতে এবং মহিলাদের এই শিল্পের প্রতি আরো আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে তার এমন প্রচেষ্টা। পুজো যত এগিয়ে আসছে ততই তাঁর ব্যস্ততাও বাড়ছে ৷
আরও পড়ুন: শরিকি বিবাদে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে 409 বছরের প্রাচীন পুজো
এ বিষয়ে সহেলি পালের কথায়, দীর্ঘ দিন থেকেই তাঁদের পরিবার মূর্তি তৈরি করে আসছে ৷ ছোট থেকেই মাটি মেখে বড় হয়েছেন ৷ তাই মাটির প্রতি টান থেকে গিয়েছে ৷ এবার বাবার সঙ্গে মূর্তি তৈরিতে হাত মিলিয়েছেন সহেলি ৷ এই প্রসঙ্গেই সহেলি পাল বলেন, ‘‘পরিবারের হাত ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন। যেহেতু মৃৎশিল্প দিনদিন হারিয়ে যেতে বসেছে, সেই কারণেই আগামিদিনে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর এমন উদ্যোগ। পাশাপাশি মহিলাদের আরও বেশি করে এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন ৷’’
মৎশিল্পী সহেলি পালের কথার রেশ টেনেই তাঁর বাবা বলেন, ‘‘যেহেতু আমিও পরিবারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি ৷ সেই রকমই আমার মেয়ের চাইছে আগামিদিনে এই শিল্পটা যাতে বেঁচে থাকে ৷ পুরুশদের পাশাপাশি মহিলারাও যাতে মূর্তি তৈরিতে এগিয়ে আসেন ৷ মহিলাদেরও এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট করাই প্রধান উদ্দেশ্য।’’