কৃষ্ণগঞ্জ, 17 এপ্রিল : এক সময় পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তা নিয়ে হইচই হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বর্তমানে তিনি নকুলদানা খাওয়ার কথা বলেন। যার জন্য শোকজ় পেতে হয়েছে বার-তিনেক। তাতেও দমেননি। বলেছেন, কমিশনকেই নকুলদানা খাওয়াব। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এখন আবার নদিয়া তৃণমূল পর্যবেক্ষকও। এবার অনুব্রতর রেশ ধরেই হুঁশিয়ারি দিলেন চাকদার তৃণমূল বিধায়ক। বললেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়াবাড়ি করলে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করুন।" (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত।)
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গত সোমবার বিকেলে শিমুরালির বিটি কলেজে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা করেন চাকদার বিধায়ক রত্না ঘোষ। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। যা ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। রত্না বলেন, "একটা কথা মনে রাখবেন, যুদ্ধে জিততে গেলে ন্যায়, অন্যায়, গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। যুদ্ধে জিততে গেলে যে পদ্ধতি যেখানে দরকার সেখানে সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। আপনারা নির্বাচন করে 2016 বিধানসভায় জিতিয়েছেন। আমি দেখেছিলাম, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাড়া খেয়েছিলেন। মার খেয়েছিল আমাদের ছেলেরা। রক্তাক্ত হয়েছিল। এবারের চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। কোনও ভয়ের কারণ নেই। আমি নিজে প্রত্যেক বুথে যাব। সেন্ট্রাল ফোর্সকে আমরা পাত্তা দেব না। যেখানে বাড়াবাড়ি করবে, মহিলা সংগঠনকে বলব ঝাঁটা হাতে নিয়ে সেন্ট্রাল ফোর্সকে তাড়া করে এলাকা ছাড়া করে দেবেন। ভয়ের কোনও কারণ নেই।" রত্নার এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়।
গতকাল নদিয়ায় প্রচারে এসেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। রত্নার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, "যার যা শিক্ষা, সভ্যতা, সংস্কৃতি সে তো সেই অনুযায়ী কথা বলবে।" রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, "ওরা গণতন্ত্র মানে না। মা-বোনদের অত্যাচার করে ক্ষমতা দখলের জন্য। কোনও নীতি নেই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদের পক্ষে সবই সম্ভব। গণতন্ত্রহীন মানুষ সব পারে।"