চাকদা, 17 এপ্রিল : প্রথমে রেললাইন থেকে উদ্ধার স্বামীর দেহ । তারপর বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর দেহ । স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল নদিয়ার চাকদা থানার রথতলা এলাকায় (Husband and Wife's body Recovered in Chakdaha) । মৃত ব্যক্তি দেবাশীষ রায় (37) রেলের কর্মী । মৃতা বর্ণালী রায় (23) বিএড কলেজে পড়াশোনা করছিলেন । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর চব্বিশ পরগনার পাল্লা গ্রামের দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় চাকদার নারকেলডাঙ্গার বর্ণালী ঘোষের । দেবাশীষ রায় কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশনের ওয়ার্কশপে কর্মরত । অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাননি বর্ণালী ৷ কারণ উত্তর 24 পরগনার ওই গ্রাম থেকে তাঁর বিএড কলেজের দূরত্ব অনেকটাই ৷ শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজে যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ার কারণে চাকদা থানার রথতলা এলাকায় ভাড়াবাড়ি নিয়ে থাকতেন ৷ মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেবাশীষ ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হলেও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর ৷
শ্বশুরবাড়িতে না থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই গণ্ডগোল হত । অভিযোগ, দেবাশীষের পাঁচ বোন মিলে দাদাকে জোর দিত স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ এমনকী বর্ণালীর বাপেরবাড়ি থেকে টাকা-পয়সা, সোনাদানা নিয়ে আসার জন্য ভাইকে চাপ দিত তারা ৷ তারপরই হঠাৎ এই ঘটনা ৷ শনিবার সকালে চাকদা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় দেবাশীষের দেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি মা নীহারবালা রায়কে নিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মহিলা কোনওক্রমে বেঁচে যান ৷