শান্তিপুর, 29 জুলাই : আবারও গঙ্গায় ভাঙন । অসহায় হয়ে গ্রামছাড়া শতাধিক পরিবার । নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায় ধরা পড়েছে এই ছবি ।
এই প্রথম নয় । প্রতি বছর বর্ষা এলে গঙ্গায় ভাঙন শুরু হয় । বৃষ্টি হলে সেই প্রবণতা আরও বেড়ে যায় । এখন শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, শান্তিপুর পৌরসভা, বেলঘরিয়া 1 নম্বর এবং 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে । তলিয়ে গেছে চাষের জমি । একেই লকডাউন । তার উপর চাষের জমিগুলিই চাষিদের একমাত্র সম্বল । চাষ করে যেটুকু আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে তাদের ।
আজ শান্তিপুর পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের চরসরাগর এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে কয়েকজনের বাড়িও তলিয়ে গেছে গঙ্গাবক্ষে । সেই আতঙ্কে নিজেদের ঘর ভেঙে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে প্রায় শতাধিক পরিবার । তবে কোথায় যাবে, কীভাবে দিন কাটাবে সে বিষয়ে তারা কিছু জানে না ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও নেতা বা জনপ্রতিনিধি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি । কয়েকদিন আগে জেলাশাসক এবং জেলা সভাধিপতি ঘুরে গেছেন । আশ্বাস দিয়ে গেছেন । তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি । রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এসেছিলেন । তিনিও সেচ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন । কিন্তু মিলেছে শুধু প্রতিশ্রুতি । কাজের কাজ কিছু হয়নি ।
বাসিন্দারা বলেন, কোনও কোনও সময় কাজ শুরু হয় । কিন্তু সেই কাজ দিয়ে গঙ্গার ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয় । শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি অজয় দে বলেন, "গঙ্গা ভাঙনের সমস্যা এই প্রথম নয় । একাধিক জায়গায় গঙ্গার ভাঙন চলছে এটা সত্য । যেহেতু সেচ দপ্তর কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, আমরা একাধিকবার কথা বলেছি, চেষ্টা করছি যাতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকা যায় । "