একরাতে তলিয়ে গেল শান্তিপুরের 7 বিঘা আম বাগান

প্রশাসন এখনও পর্যন্ত ভাঙন পরিদর্শনে আসেনি ৷ তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ৷ অভিযোগ, প্রতিবছর তাদের এই সমস্যায় পড়তে হয় ৷ প্রশাসনকে জানানো হলে মাঝেমধ্যে বালির বস্তা দিয়ে পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেটাও ফের কয়েকদিনের মধ্যে তলিয়ে যায় ৷

শান্তিপুর, 24 অগাস্ট : গঙ্গার পাড় ফের ভাঙছে ৷ গঙ্গাবক্ষে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে নদিয়ার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর ও নৃসিংহপুর চৌধুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিঘা বিঘা চাষের জমি, ঘরবাড়ি ৷ গতকাল রাতে শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকার বিঘা সাতেক আমবাগান তলিয়ে গেল গঙ্গাবক্ষে ৷ আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের ৷ এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কেউ ঘটনাস্থান পরিদর্শনে আসেনি ৷ এনিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ৷

স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রতিবছর বর্ষায় গঙ্গায় জলস্তর বেড়ে যায় ৷ যার জেরে পাড়ে ভাঙন শুরু হয় ৷ সমস্যায় পড়তে হয় নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ৷ তবে এই ভাঙন প্রথম নয় ৷ এর আগেও তলিয়ে গেছে একাধিক পাড় ৷ কয়েক মাস আগেই ওই এলাকায় পরিদর্শনে এসেছিলেন জেলা শাসক বিভু গোয়েল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুসহ সেচ দপ্তরের প্রতিনিধিরা ৷ তারা ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে ভাঙন রোধ করার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন ৷ সেই মতো বেশকিছু বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয় ৷ কিন্তু বর্ষার ফলে গঙ্গার জলের গতি বেড়ে যাওয়ার কারণে তা ভেঙে তলিয়ে যায় ৷

তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে বার বার আসে আর আশ্বাস দিয়ে চলে যায় ৷ কাজের কাজ কিছুই হয় না ৷ দাবি, গঙ্গার ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷ এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অলোক বিশ্বাস বলেন, কোরোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন ধরে কাজ হারিয়েছি ৷ এবার গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একাধিক চাষের জমি ৷ এই অবস্থায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের ৷ যত দ্রুত সম্ভব এই ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন ৷

গঙ্গা ভাঙনের বিষয়ে বেলঘড়িয়া 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাবন প্রামানিক বলেন, "গঙ্গা ভাঙনের গতি অতিমাত্রায় বেড়ে গিয়েছে ৷ আমরা এর আগেও স্থানীয় BDO থেকে শুরু করে SDO, জেলাস্তরেও বারবার যোগাযোগ করেছি ৷ তারা আশ্বাস দিয়েছেন যাতে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা যায় সে ব্যবস্থা করবেন ৷ আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত সম্ভব এই অবস্থাকে কাটিয়ে ওঠা যায় ৷ আমরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি ৷"