রাজ্যপালের দুর্গা রত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান কল্যাণীর ক্লাবের নদিয়া, 26 অক্টোবর: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দেওয়া দুর্গা রত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব। ক্লাব সদস্যদের দাবি, রাজ্যের 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিক কেন্দ্রীয় সরকার। তাহলেই তাঁরা পুরস্কার পেয়েছেন বলে মনে করবেন। পুজোর আবহ কাটতে না কাটতেই রাজ্যপালের কাছে এমন ক্লাবের দাবির নেপথ্যে রাজনীতি দেখছেন অনেকেই ৷ যদিও এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা ৷
ক্লাবের সম্পাদক টিঙ্কু মুখোপাধ্যায় বলেন, "সবিনয়ে আমরা এই পুরস্কার প্রত্যাখান করছি ৷ কারণ বিগত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখেছি, 100 দিনের কাজের টাকা গরিব মানুষেরা পাচ্ছে না ৷ তারা কখনও রাজভবন আবার কখনও দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করছে ৷ রাজ্যপালের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই টাকা আমাদের ক্লাবকে না দিয়ে উনি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। কেন্দ্র 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা গরিব মানুষকে দিয়ে দিলে আমাদের মনে হবে এটাই আমাদের পুরস্কার ৷"
বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এবছর কলকাতার পাশাপাশি নজর কেড়েছে নদিয়ার কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব। সেই কারণে স্থানীয়রা ছাড়াও দূর থেকেও বিভিন্ন দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এই পুজো মণ্ডপে। এই পুজোকে নদিয়া জেলার সেরা বারোয়ারি পুজো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার তরফে। এমনই আবহে রাজ্যপাল কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবকে দুর্গা রত্ন পুরস্কার দেন। তবে তা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল।
আরও পড়ুন: একাদশীতেও বাবুঘাটে চলল বিসর্জন পর্ব, পরিদর্শনে হাজির মেয়র
এই ঘোষণার পর বেঁকে বসেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাঁরা পুরস্কারকে প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ হিসাবে ক্লাবের কর্তারা জানিয়েছেন, 100 দিনের কাজ করেও যারা বকেয়া টাকা পায়নি তাঁদের অবিলম্বে প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে হবে। রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে বাংলার গরিব মানুষের এই দাবি তুলে ধরুন- এমনটাই চান ক্লাবের সদস্যরা ৷ উল্লেখ্য, এই বছর 31 তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এই পুজো ৷ এই বছর থিম ছিল চিনের বিখ্যাত লিজবোয়া টাওয়ার ৷ প্রায় 160 ফুট উচ্চতা এই পুজো মণ্ডপ সকলের নজর কেড়েছে ৷