কৃষ্ণনগর, 9 সেপ্টেম্বর: আর 42 দিন বাকি পুজোর ৷ রাজ্যের সব কুমারটুলিতে এখন প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ বর্ষাকে সঙ্গে নিয়েই চলছে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ ৷ পিছিয়ে নেই প্রতিমার সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী শিল্পীরাও ৷ তাঁদেরও ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ তেমনি এক শিল্পী নদিয়ার কৃষ্ণনগরের 7 নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ার তন্ময় মোদক ৷ তাঁর কারখানায় মূলত ডাকের অলংকার তৈরি হয় ৷ নানান রংয়ের ডাকের সাজ তৈরি হচ্ছে সেখানে ৷ দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাঁর 6 জন কারিগর ৷ কারণ, পুজোর 42 দিন বাকি থাকলেও তাঁদের হাতে সময়টা আরও কম ৷
দুর্গাপুজোয় প্রতিমার সাজের অন্যতম অংশ হল, দেবীর অলংকার ৷ যেখানে দেবীর মুকুট, গলার হার, বাহুবন্ধ ও আরও নানান জিনিস ৷ আর দুর্গাপ্রতিমার সজ্জায় ডাকের সাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে ৷ তাই পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকদিন আগে তৎপরতা এই ডাকের সাজের অলংকার প্রস্তুতকারী শিল্পীদের ঘরে ৷ প্রতিমার অঙ্গসজ্জার অলংকার তৈরি করতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন কৃষ্ণনগরের ডাকের সাজের শিল্পীরা ৷
তেমন এক শিল্পী তন্ময় মোদক জানান, 2020 সালের পর থেকে তাঁদের ব্যবসা খুব একটা লাভের মুখ দেখেনি ৷ কারণ, করোনা অতিমারির দাপট ৷ গতবার পুজোর সময় করোনার দাপট না-থাকলেও, বাজারে তার প্রভাব ছিল ৷ কিন্তু, একবছরে সেই প্রভাব খানিকটা হলেও কমেছে ৷ ফের পুজোর বাজেট বাড়ছে উদ্যোক্তাদের ৷ সেই সঙ্গে দেবীপ্রতিমা এবং তাঁর সাজসজ্জার অলংকারেও বাজেট বেড়েছে কিছুটা ৷ তাই বছরতিনেকের ঘাটতি মিটিয়ে অনেকটাই বাজার ফিরেছে কৃষ্ণনগরের ডাকের সাজের ৷