নবদ্বীপ, 18 মার্চ : কোরোনা আতঙ্কের জেরে কার্যত ফাঁকা মায়াপুরের ইসকন মন্দির। দেখা নেই ভক্তদের।
বিশ্বজুড়ে কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের । ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । এরাজ্যেও কোরোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
কোরোনা আতঙ্কের জের, ভক্তশূন্য মায়াপুরের ইসকন মন্দির
কোরোনা আতঙ্কের প্রভাব পড়ল মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। দেখা নেই ভক্তদের।
এদিকে খোলা থাকলেও ভিড় নেই মায়াপুরের ইসকন মন্দির। প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতির আগে মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড় দেখা যায় । কিন্তু এখন ফাঁকা হয়ে রয়েছে পুরো মন্দির চত্বর। জেলার বাসিন্দাদের দেখা পাওয়া গেলেও বিদেশি ভক্তদের দেখা নেই বললেই চলে। দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে অন্যতম নদীয়ার নবদ্বীপ মায়াপুর ইসকন মন্দির। মন্দির খোলা থাকলেও দেখা নেই ভক্তের। প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতির আগে মন্দির চত্বর অসংখ্য ভক্তের ভিড় দেখা যায় কিন্তু এখন ফাঁকা হয়ে রয়েছে পুরো মন্দির চত্বর। যে কজন দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ এই জেলা থেকে আগত। বিদেশি ভক্তদের দেখা নেই বললেই চলে।
এই বিষয়ে মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, গোটা দেশ জুড়েই এখন কোরোনা আতঙ্কে প্রভাব পড়েছে, সেরকম মায়াপুরের ইসকন মন্দিরে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। করোনা আতঙ্কে ভক্তদের ভিড় কমেছে বলেও স্বীকার করে নেন তিনি। মন্দির খোলা রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কর্মী মায়াপুর ইসকনে কাজ করে। মন্দির বন্ধ রেখে দিলে তাঁদের রুজি--রোজগারে টান পড়বে। তবে পরবর্তীকালে নির্দেশমতো সিদ্ধান্ত বদল হতে পারে ।পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরা কাউকে বাধ্য করছি না ইসকন মন্দির দর্শনের জন্য। যাদের দেখার ইচ্ছা হবে তারা আসবেন, তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সকলেই সতর্ক থাকবেন এবং অপরকে সচেতন করবেন এই বার্তাও তিনি দেন।