মদ্যপ অবস্থায় রেস্তরাঁয় তৃণমূল নেতার দাদার তাণ্ডব ! নবলা (নদিয়া), 29 জুলাই: মহিলা পরিচালিত রেস্তরাঁয় ঢুকে তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের দাদার তাণ্ডব ! মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ এবং মালিকের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অমৃত প্রামাণিকের বিরুদ্ধে । অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে একজন ৷ তাঁর নাম নারায়ণ ঘোষ ৷ তবে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাদা পলাতক । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রফুল্লনগর এলাকায়।
রেস্তরাঁর মালিকের স্বামী অচিন্ত্য বিশ্বাস বলেন, "রেস্তরাঁর মহিলা কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করে অভিযুক্ত ৷ আমাকে মারধর করা হয় ৷ এই ঘটনার পর রেস্তরাঁর মহিলা কর্মীরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে । তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কাজে আসতে চাইছে না । এই রেস্তরাঁর ওপর নির্ভর করেই 10 থেকে 15টি পরিবার চলে ৷ সেই কারণে আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব যাতে সঠিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসা চালাতে পারি ।" এ বিষয়ে ধৃত নারায়ণ ঘোষ বলেন, "আমি যখন ঘটনা ঘটে তখন সবাইকেই ঠকিয়েছি । আমার কোন দোষ ছিল না । রেস্তরাঁর তরফ থেকে আমার বাইকের চাবি নিয়ে নেওয়া হয়, সেই কারণে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম । এরপরই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে ।"
জানা গিয়েছে, নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রফুল্লনগর এলাকার 34 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে । ওই রেস্তরাঁটি মূলত মহিলা পরিচালিত । সেখানে প্রায় 10 থেকে 15 জন মহিলা কাজ করেন । অভিযোগ, শুক্রবার রাতে আনুমানিক দশটা নাগাদ যখন রেস্তরাঁ বন্ধ করার সময় ঠিক তখনই সেখানে আসেন নবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুদীপ প্রামাণিকের দাদা অভিযুক্ত অমৃত । তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওই এলাকারই বাসিন্দা নারায়ণ ঘোষ । অভিযোগ, তাঁরা দু'জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন । তাঁরা দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময় পার হলেও রেস্তরাঁ খোলা রাখতে হবে ।
আরও পড়ুন:চাঁদা না দেওয়ায় হোটেলে ভাঙচুর- মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ভাই ; গ্রেফতার 2
এই নিয়ে শুরু হয় ওই রেস্তরাঁর কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা । অভিযোগ, এর জেরে মহিলা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে অভিযুক্ত অমৃত প্রামাণিক । ঘটনাস্থলে রেস্তরাঁর মালিক এলে তাঁকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । গতকাল রাতেই এই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে শান্তিপুর থানার ফুলিয়া ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় রেস্তরাঁর পক্ষ থেকে । এরপরই তদন্ত নেমে মূল অভিযুক্তের সঙ্গী নারায়ণ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ । যদিও মূল অভিযুক্ত অমৃত প্রামাণিক এখনও পলাতক ।