পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

রথে নয়, প্রাইভেট গাড়িতে যাত্রা করলেন জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রা - Moulik House

করোনা সংক্রমণে উৎসবে পরিবর্তন ৷ জগন্নাথ দেব রথ ছেড়ে প্রাইভেট গাড়িতে রওনা দিলেন মাসির বাড়িতে ৷ দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য ভেঙে গত দু'বছর ধরে এ ভাবেই মৌলিক বাড়ির মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা যাচ্ছেন মাসির কাছে ৷

গাড়িতে রওনা দিলেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম
গাড়িতে রওনা দিলেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম

By

Published : Jul 12, 2021, 2:46 PM IST

নদিয়া, 12 জুলাই : কোভিড-কালে জগন্নাথের রথযাত্রা বদলে হল গাড়িযাত্রা ৷ করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মাথায় রেখে নদিয়ার মাজদিয়ার টুঙ্গী মৌলিক বাড়ি থেকে প্রাইভেট গাড়িতে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম ৷

দীর্ঘ দিনের রীতি ভেঙে প্রাইভেট গাড়িতে মাসির বাড়ি পৌঁছালেন জগন্নাথ

প্রত্যেক বছর শ্রাবণ মাসের বিশেষ এই দিনটিতে ঘটা করে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় নদিয়ার মাজদিয়ার টুঙ্গী মৌলিক বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণে । এই মন্দিরে সারা বছর ধরে নিত্য পূজিত হন জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা দেবী । রথযাত্রা উপলক্ষে অন্যান্য বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে সুসজ্জিত রথে করে জগন্নাথ দেব মৌলিক বাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পার করে মাজদিয়া বাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে পৌঁছান । রথের রশি ধরতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্তেরা আসেন এখানে । এছাড়া এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মেলা বসে এলাকায় ।

আরও পড়ুন : প্রথা মেনে পুজো হলেও মহিষাদলে এবারও গড়াবে না রথের চাকা

এ বছর করোনা অতিমারিতে সরকারি নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কার্যত অনাড়ম্বরভাবে পালিত হল 50 বছরের ঐতিহ্যবাহী মৌলিক বাড়ির রথযাত্রা উৎসব । সোমবার সকাল 7টায় দীর্ঘ দিনের ধর্মীয় পরম্পরা ভেঙে মন্দির থেকে রথে না চেপে প্রাইভেট গাড়িতে জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রা দেবী পৌঁছালেন মাজদিয়া বাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে ।

এই প্রসঙ্গে কিশোর কুমার অধিকারী বলেন, "আমাদের জগন্নাথ দেব, বলরাম এবং সুভদ্রা দেবীকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি ৷ গত বছরও এ ভাবে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছি ৷" রথে না যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান যে কোভিডের নিয়ম মানতে আর লোকজন সীমিত, তাই এরকম ভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা ৷ সেখানে পৌঁছে 9 দিন থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ৷ তাঁদের পুজো হবে ৷ তার পর ফের গাড়িতে চেপেই ফিরে আসবেন বাড়িতে ৷

এলাকায় মেলা না বসায় স্বাভাবিকভাবে এ বছর উৎসবের আনন্দ বিলীন হয়েছে ৷ পাশাপাশি অন্যান্য বছরগুলিতে বাড়তি রোজগারের আশায় মেলায় পাঁপড় ভাজা, পুতুল ও জিলিপির মতো বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় দোকান তৈরি করে ব্যবসা করেন এলাকার গরিব মানুষজন । এই বছর করোনা বিধি মেনে চলতে গিয়ে তাই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় গরিব মানুষ, ব্যবসায়ীদের ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details