চাকদা (নদিয়া), 5 মে: তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষের দোকানের সামনে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা। পুলিশ এসে অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে বোমাগুলি নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, চাকদা থানার মদনপুর খালদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ হাবিব মণ্ডলের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে বোমা ভর্তি ব্যাগটি উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবিব মণ্ডলের বাড়ির পাশেই একটি দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো এদিনও হাবিব এবং তাঁর স্ত্রী হালিমা মণ্ডল সকালে দোকান খুলতে এসে একটি ব্যাগ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে দাবি। সেই সঙ্গে, হাবিব মণ্ডলের দাবি, প্রাথমিকভাবে তাঁরা অনুমান করেন কোনও চাষী হয়তো এই ব্যাগটি রেখে থাকতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ধরেই ওই ব্যাগটি সেখানেই ঝুলে ছিল।
দাবি করা হয়েছে, এরপরই কোনও একজন এলাকাবাসী ব্যাগে উঁকি মারতেই দেখে ব্যাগটিতে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা রয়েছে। এরপরেই তৃণমূল নেতাকে বিষয়টি জানানো হয় ৷ যদিও ঘটনাটি প্রথমে বিশ্বাস হয়নি হাবিবের। পরে ব্যাগ খুলে তিনি দেখেন তাতে বোমা রয়েছে। খবর জানাজানি হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাকদাহ থানার পুলিশ। বোম স্কোয়াডের সহযোগিতায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালাচ্ছে। এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হাবিব মণ্ডল বলেন, "সকালে প্রতিদিনের মতো দোকান খোলার সময় দেখি একটি ব্যাগ রয়েছে দোকানের সামনে। পরে জানা গেল তাতে বোমা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আতঙ্কিত করার জন্যই বিরোধীরা এই চক্রান্ত করে থাকতে পারে।"
তবে কে বা কারা এই বোমা রেখেছে তা পুরোটাই প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "যেহেতু এটা জনবহুল এলাকা, এখানে অনেক বাচ্চারা আসে ৷ সেই কারণে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি এটাই রক্ষে।" তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হালিমা মণ্ডল বলেন, "আমিও ছুটে এসে দেখি ব্যাগের মধ্যে বোমা রয়েছে। তবে কে বা কারা রেখেছে সেটা এখন বলা সম্ভব না। পরবর্তীকালে তদন্ত করে দেখলে বোঝা যাবে কারা এই চক্রান্ত করেছে।" অন্যদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারা কী উদ্দেশ্যে ওই বোমা ভর্তি ব্যাগ রেখেছিল তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইস্তফা প্রত্যাহার ! এনসিপি প্রধানের পদে বহাল থাকছেন পাওয়ার