নদিয়া, 30 অগস্ট:বয়স 54 বছর ৷ শরীরের ওজন 102 কেজি ৷ চলতে যে একটু সমস্যা হয় তা ছবি থেকে বোঝা যায় ৷ তবে তোয়াক্কা না করে ডাকাতদের তাড়া করেছিলেন ৷ এককথায় বলা যায় প্রাণের বাজি রেখে, পুলিশ মহলের মান বাঁচিয়েছেন ৷ নদিয়ার রানাঘাটের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় 'সুপার হিরো' তকমা জুটছে রানাঘাট থানার এএসআই রতন কুমার রায়ের। তাঁর রিভলবারের গুলিতেই ডাকাতি করে পালানোর সময় আহত হয়েছিল দুই ডাকাত ।
মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাসিন্দা রতন কুমার ঘোষ । 27 বছর বয়সে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে । এরপর নিজের কর্মদক্ষতা এবং কর্তব্যে অবিচল রেখে একের পর এক প্রমোশনের পেয়ে এখন এএসআই হন তিনি। তার 27 বছরের চাকরি জীবনে অনেক ঘটনার সাক্ষী তিনি ৷ তবে এইভাবে ডাকাত দলের সঙ্গে গুলির লড়াই আগে কখনও করেননি তিনি। সে কথা উল্লেখ করেই এএসআই রতনকুমার ঘোষ বলেন, "যখন আমার কাছে খবরটা এসেছিল আমি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলাম । নিজের জীবনের কথা তখন মনে ছিল না। একটাই কথাই মাথায় এসেছিল, পুলিশের কিছুতেই বদনাম হতে দেব না। সেই পরিস্থিতিতে পালানোর কোনও প্রশ্নই ছিল না। পালাতে গেলে হয়তো একটা বুলেট আমার পিঠে এসে লাগত। আমি দেখতেও পারতাম না কে আমাকে গুলি করল। তাই লড়াই করে গিয়েছিলাম প্রাণ বাজি রেখে।"