শান্তিপুর, 21 ফেব্রুয়ারি : দিন কয়েক বাদেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ কিন্তু, বইয়ের থেকে বেশি ফোনই সঙ্গী তার ৷ বাড়িতেও এই নিয়ে রোজের অশান্তি ৷ অনুমান, তা আর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে সায়ন তরফদার ৷ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ মিলেছে এই পরীক্ষার্থীর ।
উদ্ধার কিশোরের ঝুলন্ত দেহ, বাবার বকুনিতে আত্মঘাতী ? - নদিয়া
সামনেই উচ্চমাধ্যমিক ৷ তাই ফোন কম ঘেঁটে পড়াতে মন দিতে বলেছিলেন বাবা ৷ প্রাথমিক অনুমান, সেই অভিমানেই আত্মহত্যা করল নদিয়ার এক কিশোর ৷
![উদ্ধার কিশোরের ঝুলন্ত দেহ, বাবার বকুনিতে আত্মঘাতী ? আত্মঘাতী কিশোর](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-6153448-thumbnail-3x2-death.jpg)
সায়নের বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেথিরডাঙা গ্রামে ৷ বাবা রাকেশ তরফদার পেশায় তাঁতি ৷ মা সুমিতা তরফদার তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ৷ আজ সকাল 10টা নাগাদ রাকেশবাবু সায়নকে ফোন রেখে পড়তে বসতে বলে ৷ সে বাবার কথা মতো ফোন রেখে নিজের ঘরে চলেও যায় ৷ কিন্তু, 10-15 মিনিট পর থেকে কোনও শব্দ না পাওয়ায় সুমিতা ছেলেকে ডাকতে থাকে ৷ তাতেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি ৷ বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙা ৷ ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সায়নকে ৷
তড়িঘড়ি শান্তিপুর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে ৷ কিন্তু, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ ৷ কী কারণে আত্মহত্যা করল সায়ন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে অনুমান, ফোন নিয়ে বাবার সঙ্গে বচসার জেরেই এই ঘটনা ।