সালার (মুর্শিদাবাদ), 16 মে: স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ অ্যাম্বুল্যান্স ৷ আর এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে ৷ কালিয়াচকের পর এবার মুর্শিদাবাদের সালার ৷ অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেটের ‘বলি’ হলেন এক মহিলা ৷ অভিযোগ সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মহিলাকে কলকাতার কমান্ডো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বারবার অ্যাম্বুল্যান্স আটকানো হয় ৷ এমনকি রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে 42 বছরের চাঁদতারা বিবির ৷ ঘটনায় সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিন অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অ্যাম্বুল্যান্স না-পেয়ে ব্যাগের ভিতরে মৃত সন্তানের দেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বাবা ৷ এই ঘটনার 48 ঘণ্টা পেরনোর আগে, আবারও প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য় পরিকাঠামো ৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতিটি স্তরে যে দালাল চক্র ছেয়ে গিয়েছে, সেটাও আরও একবার দেখা গেল ৷ এবার অভিযোগ একদল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে ৷ মুর্শিদাবাদের সালার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা ৷ সোমবার রাতে সালারের মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা চাঁদতারা বিবিকে ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
সেখানে চিকিৎসকরা জানান, চাঁদতারা বিবির ডায়ালিসিস প্রয়োজন ৷ যার ব্যবস্থা সেখানে ছিল না ৷ যেহেতু মহিলার স্বামী সেনায় কর্মরত, তাই তাঁকে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ পরিবারের সদস্যরা পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককে ডাকেন তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ অভিযোগ চাঁদতারা বিবিকে যখন অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হচ্ছিল তখন বাধা দেন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে লাইনে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের চালকরা ৷ তাঁদের দাবি ছিল, বাইরে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স এনে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে না ৷ লাইনে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সই ভাড়া করতে হবে ৷