বহরমপুর, 3 মার্চ : কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার টুইটের জবাবে আগেই দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । আজ বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে ফের আনন্দ শর্মার সমালোচনা করলেন অধীর । অধীরের কথায়, জোট নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় মত প্রকাশ না করে উনি আমাকে ফোন করতে পারতেন । দলের অন্দরে আলোচনা করতে পারতেন । তা না করে উনি বিরোধীদের মদত জোগালেন ।
বাম ও সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের নির্বাচনী জোট নিয়ে আনন্দ শর্মার সমালোচনার পর থেকেই আনন্দ-অধীর তর্জা শুরু হয়েছে । টুইটারে আনন্দ শর্মা লিখেছিলেন, "আইএসএফ এবং সমতুল্য দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট দলের মূল ভাবনা এবং গান্ধি-নেহরুরা যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন তার পরিপন্থী । বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা অবশ্যই দরকার ছিল ।" তিনি আরও লেখেন, "সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনোই কোনওরকম বাছ-বিচার করতে পারে না । সবরকম ভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা উচিত । এই ধরনের মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি এবং সমর্থন লজ্জাজনক । তাঁর নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত ।" উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জবাব ছিল, "আমরা এক একটি রাজ্যে দায়িত্বে আছি । আমরা অনুমতি ছাড়া নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিই না ।" অধীর চৌধুরী ক্ষোভের সুরে বলেন, "আনন্দ শর্মা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন । আনন্দ শর্মার কথা বলা উচিত ছিল, স্বৈরতান্ত্রিক তৃণমূল এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে । এই রাজ্য সম্পর্কে কিছু জানেন না আনন্দ শর্মা । উনি রাজ্যসভার টিকিটের জন্য এই সব কথা বলছেন ।" এই পরিস্থিতিতে দলের বিবাদ মেটাতে মাঠে নামতে হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে । যদিও এদিন ফের আনন্দ শর্মার কড়া সমালোচনা করলেন অধীর চৌধুরী ৷