ভগবানগোলা, 6 সেপ্টেম্বর: 349 গ্রাম সোনার বিস্কুট ও নগদ 21 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ভগবানগোলা থানার পুলিশ । এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আজ ধৃতদের লালবাগ মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন । পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে ভগবানগোলা থানার পুলিশ বটতলা এলাকা থেকে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে । তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় 21 লক্ষ টাকা । ধৃত ব্যক্তির নাম সুরাজচন্দ্র স্বর্ণকার । তাঁর বাড়ি ভগবানগোলা থানা এলাকায় । ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, সোনার বিস্কুট বিক্রি করে ওই ব্যক্তি এই টাকা পেয়েছে ৷
ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্রি হওয়া সোনার বিস্কুট-সহ শফিউল্লা শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । শফিউল্লা শেখের বাড়ি বেলডাঙা থানার অন্তর্গত রামেশ্বরপুর এলাকায় । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে 349 গ্রাম সোনা । বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য 22 লক্ষ টাকা বলে দাবি পুলিশের । বুধবার সকালে ধৃত দুই ব্যক্তিকে লালবাগ আদালতে পাঠায় ভগবানগোলা থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন:পেট্রাপোল সীমান্তে ট্রাক থেকে বাজেয়াপ্ত 3.12 কোটি টাকার সোনার বিস্কুট
ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে লালগোলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল সোনার বিস্কুট । পাচারকারীদের কাছ থেকে বিস্কুটগুলি সংগ্রহ করেছিলেন ভগবানগোলার বাসিন্দা সুরাজচন্দ্র স্বর্ণকার । মঙ্গলবার তিনি সেগুলি বিক্রি করেন বেলডাঙার শফিউল্লা শেখের কাছে । আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে সোনার বিস্কুট ঢুকলেও বিএসএফের নজরে না আসায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।