সুতিতে মৃত্যু তৃণমূল নেতার সুতি, 4 অক্টোবর:ফের শুটআউট সুতিতে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল শাসকদলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতার । মৃত তৃণমূল নেতার নাম প্রবীর দাস ৷ বয়স 34 বছর । মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সুতি থানার হাপানিয়া এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।
জানা গিয়েছে, সুতি থানার হাপানিয়া এলাকায় প্রবীর দাস প্রতিদিনের মতোই নিজের মুরগীর ফার্মে বসে ছিলেন । হঠাৎ করেই কিছু দুষ্কৃতী এসে পর পর তাঁর উপর 3 রাউন্ড গুলি চালায়। গুলি লাগে প্রবীরের গলায় ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় চৈকির উপর পড়ে যান তিনি ৷ কর্মচারীর ছুটে এসে খবর দেয় পরিবারের লোকজনকে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে ৷ তবে শেষরক্ষা হয়নি ৷ সেখানকার চিকিৎসকরা প্রবীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুতি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরাক্কার এসডিপিও রাসপ্রীত সিংও ।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুতি থানার পুলিশ । যদিও কী কারণে জগতাই 2 নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্যার স্বামীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয় । মৃতের ভাইপো বাসুদেব দাস জানান, বাড়ি থেকে এক কিমি দূরে পোলট্রি ফার্ম রয়েছে প্রবীর দাসের । ছেলেকে টিউশন থেকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েই রোজ সাড়ে আটটা নাগাদ পোলট্রি ফার্মে আসেন তিনি । মঙ্গলবার রাতেও একইভাবে ছেলেকে বাড়িতে রেখে পোলট্রি ফার্মে এসে বসেছিলেন এই তৃণমূল নেতা ।
আরও পড়ুন:গোয়ালপোখরে গুলি করে খুন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে, তদন্তে পুলিশ
রাত দশটা নাগাদ দুটি মোটরবাইকে চারজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে আসে এবং প্রবীরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় । তার মধ্যে তিনটি গুলি লাগে প্রবীরের গলায় ও শরীরের অন্য জায়গায় । লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ এরপরই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পোলট্রি ফার্মের কর্মীরা । তাঁরাই প্রবীরকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারে খবর দেন । পরিবারের দাবি, কারও সঙ্গে কোন শত্রুতা ছিল না তাঁর । কেন এই ঘটনা, তারাও বুঝে উঠতে পারছেন না ।