কান্দি, 24 ফেব্রুয়ারি : জল প্রকল্প জলে গেল ! এমনকী কান্দী শহরের মানুষের পরিত্যক্ত পাইপ-গাছ দেখার বিরল অভিজ্ঞতা হল৷ কান্দি মাষ্টার প্ল্যানের আওতায় ভাগীরথী থেকে জল উত্তোলন ও পরিশুদ্ধ করে সেই পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল এলাকার ঘরে ঘরে ৷ সে কাজ আদৌ হয়নি ৷ যদিও বছর বারো আগে শহরের তেষ্টা মেটানোর প্রকল্প অনুমোদিত হয়৷ প্রাথমিক কাজ শুরুও হয়েছিল ৷ পৌরভবনের কাছে স্টুডেন্ট হেলথ হোমের পাশে জমিতে পড়ে থাকা এক যুগ বয়সি বড়সড় নীল রঙের পাইপগুলি যার সাক্ষী দেয় ৷ যার চারপাশ দিয়ে এখন আগাছার জঙ্গল ৷ পাইপের ভেতরে পুরো মাটির আস্তরণ৷ অন্যদিকে চলছে দোষী কে তা নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল চাপান-উতোর৷
২০০৭ সালে অনুমোদিত হয় কান্দি মাষ্টার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত পানীয় জল প্রকল্প৷ তখন পৌরসভা থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ; সবটাই ছিল কংগ্রেস পরিচালিত । বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি প্রচেষ্টায় প্রকল্পটির অনুমোদন করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার৷ সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, নয়া প্রকল্পের বাস্তবায়নে কান্দি মহকুমার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ঘরে পরিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হবে। কেটে যাবে শহরের দীর্ঘ দিনের জলসংকট৷ কিন্তু এর মধ্যে কান্দিতে ক্ষমতার হাতবদল ঘটে ৷ জল প্রকল্পের কাজও থমকে যায়৷
এই প্রসঙ্গে বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, "মানুষের স্বার্থে নদী থেকে জল নিয়ে তা পরিশ্রুত পানীয় জলে রূপান্তরিত করে ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কান্দি শহরের আশপাশে কোনও নদী নেই তাই বহরমপুরের ওপর দিয়ে বাহিত ভাগীরথী থেকে জল নিয়ে এসে কর্ণসুবর্ণের উপর দিয়ে রণগ্রাম সেতু সংলগ্ন পাইপলাইনের সেতু করা হয়৷ সেখান দিয়ে বহন করে জল সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তার জন্য ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল সে সময়।"
অধীর রঞ্জন চৌধুরির অভিযোগ, "পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে চলে যাওয়ায় পর আর কাজ হয়নি। চুরি করবে কখন, সেই নিয়েই তৃণমূল ব্যস্ত৷"